1. abukowsarmithu@gmail.com : abuko wsarmithu : abuko wsarmithu
  2. admin@dainikgonotontro.com : gontadmin :
বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নওগাঁর পৃথক উপজেলায় সড়কের ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বেনাপোলে আমদনি-রপ্তানি ও পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক দেশ বিরোধী ইসকন এর ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল লামায় বোরো ধানের বীজ পেল ১ হাজার ১৫০ কৃষক গোবিন্দগঞ্জে কিনু হত্যা কারীর ফাঁসি,জরিতদের আটকের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। যশোরের বেনাপোল মুক্ত দিবস আজ রাউজানে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত প্রদর্শনীর মাঠ দিবস চাঁপাইনবাবগঞ্জে শুরু হয়েছে দুই দিনের তথ্যমেলা আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সাথে নবনিযুক্ত পরিচালক এর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় গোপালগঞ্জের জায়গা জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী–র‍্যাব ও পুলিশ

ঢাবিতে গণহত্যার বিচার বিষয়ক নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৪৯ বার পাঠ করা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গণহত্যার বিচার কোন পথে’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ স্টাডি ফোরাম (বিডিএসএফ)-এর উদ্যোগে
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ এ নাগরিক সংলাপে বক্তব্য প্রদান করেন আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বীরপ্রতীক লে. কর্নেল (অবঃ) হাসিনুর রহমান, মায়ের ডাকের সংগঠক সানজিদা ইসলাম তুলি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ল-এর চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা হোসাইন, স্পীক বাংলাদেশ’-এর বিশেষ মুখপাত্র অ্যাডভোকেট আলী নাছের খান এবং সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সরোয়ার হোসেন। এতে সঞ্চালনা করেন
বিডিএসএফ-এর ঢাবি চ্যাপ্টারের সমন্বয়ক মাহমুদুল হাসান।

সংলাপে ‘গণহত্যার বিচার ও পুনর্বাসন’ নামক মন্ত্রণালয় গঠন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন বীরপ্রতিক লে. কর্নেল (অবঃ) হাসিনুর রহমান। এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজের ধীরগতির সমালোচনা করেন তিনি।

মায়ের ডাকের সংগঠক সানজিদা ইসলাম তুলি বলেন, ‘গত ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় গুম ও হত্যার মামলা বা জিডি নেয়া হতো না। পুরো সরকারের মেকানিজম গুম-খুনকে ধামাচাপা দেওয়ার কাজ করতো।’
তিনি অনতিবিলম্বে গুমের বিচার শুরু করার দাবি জানান ও সিক্রেট ডিটেনশন সেলের এভিডেন্স প্রটেকশনের কথা বলেন।

স্পীক বাংলাদেশ’-এর বিশেষ মুখপাত্র অ্যাডভোকেট আলী নাছের খান বলেন, ‘বিচারের ধারণা থেকে ফ্যাসিবাদের উপাদানগুলোকে দূরীভূত করতে হবে। গণহত্যায় আহত ও নিহতদের জাতীয় হিরো হিসেবে উপস্হাপনের কোনো উদ্যোগ দেখছি না কেন?’ গণহত্যাকারী দলের পুনর্বাসনের চেষ্টার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘জুলাই গণহত্যার বিচার না হলে বাংলাদেশ পথ হারাবে।’ তিনি বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয় গণহত্যার বিচারের জন্য আশ্বস্ত করার মতো উদ্যোগ নিতে পারছে না। আমাদের বি-আওয়ামীকরণ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা করতে হবে। অভ্যুত্থান-পর্ব শেষ হয়েছে, বিপ্লব-পর্ব শুরু করতে হবে, এবং এর মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সরোয়ার হোসেন বলেন, এমন নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে হবে যেন ফ্যাসিবাদ পুনরায় ফিরে আসতে না পারে। যে সংবিধান দিয়ে ফ্যাসিবাদ তৈরি হয়েছে, সে সংবিধান দিয়ে গণ-অভ্যুত্থান ও বিপ্লবের উদ্দেশ্য সফল করা যাবে না। একটি ট্রাইবুনাল নয়, দশটি ট্রাইবুনাল দিয়ে গণহত্যার বিচার করতে হবে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ল-এর চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা হোসাইন বলেন, ‘আমাদের আইনের সংজ্ঞা ও প্রসেসের ভেতর কিছু দুর্বলতা আছে। এগুলো কারেকশন করে আমাদের বিচারিক প্রক্রিয়ায় আগাতে হবে।’

আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘একটা গণ-তদন্ত কমিশন হতে হবে।পুরো বিটিভির আর্কাইভকে ধ্বংস করে দিয়েছে, হাসপাতালগুলোর ফরেনসিক রিপোর্ট গায়েব করেছে ফ্যাসিবাদীরা। ফলে একটা গণ-তদন্ত কমিশন হলে গণহত্যার বিচারের মিসিং লিংকগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হবে। শেখ মুজিবের পরিবারের রাজনীতি বুড়িগঙ্গার পানির চেয়ে দূষিত। আওয়ামী-ফ্যাসিবাদী রাজনীতির ডায়ালাইসিস করতে হবে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে বা তিনবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখতে হবে। আওয়ামী লীগের আমলে যেদিনটা সবচেয়ে ভালো গেছে, তার থেকে এখনকার প্রত্যেকটা দিন ভালো।
নাটক, সিনেমা, গল্প দিয়ে অভ্যুত্থানের সাংস্কৃতিক রুপান্তর করতে হবে।

সংলাপে সমাপনী আলোচনা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ স্টাডি ফোরামের সদস্য আলাউদ্দীন মোহাম্মদ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

কক্সবাজারে পৃথক অভিযানে আটক ৭, এলজি ও গুলি উদ্ধার কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গত এক সপ্তাহে বিপুল পরিমাণের অস্ত্র উদ্ধারসহ ৩০ জনের বেশি অপরাধীদের আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) ও মঙ্গলবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে দুটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ ও বিদেশি ছুরিসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি টিম শহরে টহলে বের হয়। এমন সময় খুরুশকুলের ছনখোলা বাজার রোড-সাম্পানঘাটের জাহাঙ্গীর কাশেমের মাছের প্রজেক্টের সম্মুখে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সিএনজি দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। এসময় উক্ত সিএনজি তল্লাশি করলে অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। পাশাপাশি সিএনজিতে থাকা দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাড়ি থেকে দেশীয় তৈরি দুটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন—কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের লিংক রোড মুহুরী পাড়ার বজল কবিরের ছেলে সিএনজি চালক আব্দুর রহিম ইলিয়াস (৩৮), একই এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মোহাম্মদ ওসমান (৫৪)। জানা গেছে, গ্রেপ্তার আসামিরা উপকূল দিয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এনে শহরের বিভিন্ন এলাকার অপরাধীদের কাছে সরবরাহ করছিল। এদিকে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের অভিযানে বিদেশি ও দেশীয় তৈরি পাঁচটি ছুরিসহ পাঁচ ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১টি ধারালো টিপ ছুরি, ৪টি ধারালো ফোল্ডিং ছুরি ও ১টি ব্যাটারিচালিত টমটম অটোরিকশা। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভোরে সদর থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়। আটক পাঁচ ছিনতাইকারী হলেন—সমিতি পাড়ার আলী হোসেনের ছেলে মো. সাহেদ হোসেন (১৮), একই এলাকার নুর নবীর ছেলে মো. রহিম (১৯), মোক্তার আহমদের ছেলে মো. রাকিব (১৯), চকরিয়া ঢেমুশিয়ার নুর নবীর ছেলে শহীদ হোসাইন (২৫) ও মহেশখালীর কুতুবজোম চরপাড়ার নবাব সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আব্দুর রহিম (১৬)। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান বলেন, কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানা পুলিশের অভিযানে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রেকর্ড করে আদালতের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি সময়ে যে সকল অস্ত্রবাজ ও ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে। যেন তাদের কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুরো অপরাধী সিন্ডিকেট আইনের আওতায় আনা যায়।

© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি