-রতন আলী মোড়ল বিশেষ প্রতিনিধি
শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার কৃতিসন্তান লেঃ কর্নেল নজরুল ইসলাম রাসেল। পিতা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপির একজন সক্রিয় নেতা।নজরুল বর্তমান শরীয়তপুর ১ আসনে বিএনপির হাল শক্ত হাতে ধরার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন।
গত শুক্রবার রাতে, তার এক ভগ্নিপতির ডাকে রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরে বসিলা চৌরাস্তায় একটি প্রাইভেটকার ও তার কাগজ দেখার জন্য আসেন।পরে ভগ্নিপতিকে বিদায় দিয়ে, যাওয়ার সময় একজন বন্ধুর সাথে দেখা হলে তাকে নিয়ে একটু রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করেন।পরে সেখান থেকে তিনি বনানি বা গুলশানের পথ ধরেন।
কাকতালীয় ভাবে ঐদিন রাতে মোহাম্মদপুর এলাকায় একজন ব্যাবসায়ির বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।যেখানে কয়েকটি চ্যানেল তার রেস্টুরেন্টে প্রবেশ ও বসার দৃশ্য দেখিয়ে প্রচার করেন।যা তার নজরে আসে ৩দিন পরে,কিন্তু তিনি ও তার পরিবার তখন মালেশিয়ায় অবস্থান করছেন।এটা দেখার পর তিনি সাংবাদিক ও চ্যানেলগুলোর উপরে বিরক্ততা পোশন করেন।
জাজিরা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা তাদের বাড়িতে এ ব্যাপারে কথা বলতে গেলে তাকে না পেয়ে তার বর্তমান অবস্থান মালেশিয়াতে যোগাযোগ করলে, তিনি প্রথমেই বলেন” আপনারা সাংবাদিকরা যে কোন বিষয়ে প্রথমে না যেনে, না বুঝে প্রকাশ করে ফেলেন কেনো? আপনারা কি এতটুকু বোঝেন না আমাদের পরিবার আছে।” পরে তাকে শান্ত করে বিষয়টি জিজ্ঞেসা করলে তিনি তা খুলে বলেন।সেই সাথে তিনি দেশে এসে এর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলেও জানান।
তিনি আরো বলেন আমিতো মালেশিয়ায় আসছি এখন এখানে শরীয়তপুরের অনেক মানুষ আমার সাথে দেখা করতে আসে, তারা এখান থেকে বেরহয়ে অন্য যে কোন অঘটন ঘটালে কি আমি দায়ি থাকবো।এমনটা মিডিয়ার লোকদের করা উচিত না।তিনি এই ঘটনার সাথে তার ভিডিও এ্যাড করায় খুবি রাগান্মিত শুরে বলেন আমি অবশ্যই এর শেষ দেখে ছারবো।
সাংবাদিক এসময় কোন রাজনৈতিক বিষয় বা কোন রাজনৈতিক নেতার নির্দেশে তার নাম জরানো হয়েছে কিনা জিজ্ঞেসা করলে তিনি বলেন হতেই পারে,আমি যেহেতু বিএনপি করি তাই কেউ আমাকে শরীয়তপুরের নেতৃত্ব থেকে দুরে সরাতে এমনটা করাতেই পারে।তবে বাংলাদেশ আর্মি, রাব, ডিবি এদের অন্যায়কারিকে খুজে বের করতে সময় লাগবে না।ন্যায় প্রতিয়মান হবেই।পরে তিনি জাজিরা বাসিকে ন্যায়ের সাথে থেকে এ বিষয়ে ধৈর্য ধরার আহবান করেন।
Leave a Reply