-মোঃআবু কাওছার মিঠু
নারায়নগঞ্জ রূপগঞ্জের চনপাড়া,তাঁরাবো,ভুলতা গাউছিয়া,কাঞ্চন ও মুড়াপারায় আতংকের নাম এখন কিশোর গ্যাং। সরকার পতন হলেও পতন হয়নি তাদের, তারা শুধু নেতা বদলাইছে । তারা আগের মতোই আছে। এখনই যদি তাদের আইনের আওতায় আনা না হয় তাহলে আরো ভয়ংকর হয়ে উঠবে এই কিশোর গ্যাং।
সারা রূপগঞ্জে ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশ টা কিশোর গ্যাং রয়েছে, এর মধ্যে শুধু মুড়াপারাতেই আছে আট দশটি কিশোর গ্যাং। তাদের পকেটে সব সময় সুইচ গিয়ার, ছুড়ি,এমন কি দা,চাইনিজ কুড়াল,আগ্নেয়াস্ত্র সাথে থাকে। কেউ কিছু বলতে গেলে তাদের উপর হামলা করে বসে, বাড়িতে গিয়ে ভাংচুর করে।দিনের বেসির ভাগ সময় তারা নেষায় মগ্ন থাকে।
নেষার টাকা যোগাতে তারা দিনে রাতে যেই কোন সময় মানুষ কে ধরে ছুড়ি ঠেকিয়ে টাকা আদায় করে। এলাকায় নতুন ভাড়াটিয়া আসলে দিতে হয় তাদের চাঁদা, টাকা না দিলে হেস্থনার সিকার হতে হয় তাদের। তাদের ভাষায় যেটাকে বলে ফিটিং দেয়া।
এমন কি স্কুল কলেজ টাইমে তারা স্কুল কলেজ এর সামনে গিয়ে মেয়েদের উতপ্ত করে, মুড়াপারা সরকারি পাইলট মডেল হাই স্কুল এর এক টিচার নাম না জানিয়ে বলেন চার পাঁচটা ছেলের একটা গ্রুপ স্কুলে ডুকে মেয়েদের প্রতিনিয়ত উতপ্ত করে, আমি বাধা দেয়ায় আমার অকথ্য ভাষায় গালগালি করে এমন কি রেগে এসে আমার কলারেও ধরে বসে। প্রশাসন যদি তাদের আইনের আওতায় না আনা হয় তাহলে এরা আরো ভয়ংকর হয়ে উঠবে।
উপজেলার সহিতুন্নেছা গার্লস হাই স্কুল এর সামনে গিয়ে দারিয়ে থাকে স্কুল টাইমে,স্কুলে আসা যাওয়ার সময় মেয়েদের উতপ্ত করে।
এমন কি সরকারি মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ চলা কালিন সময় কলেজ কেম্পাসে এসে কলেজের মেয়েদের উতপ্ত করে প্রেমের প্রপোজাল দেয়, যদি মেয়েরা না বলে তাহলে তাদের সব সময় ডিস্টার্ব করে এমন কি সবার সামনে হেস্তনেস্ত সিকার হতে হয়।
এমন কি তাদের সেল্টার দেয়ার জন্য রয়েছে মুড়াপারার স্থানীয় নেতারা। যেই বয়সে তারদের স্কুলে যাওয়ার কথা, পড়াশোনা করার কথা,খেলাধুলা করার কথা,সেই বয়তে তারা হয়ে উঠেছে মারাক্তক এক কিশোর গ্যাং। এই কিশোর গ্যাং দের দিয়ে এলাকার স্থানীয় নেতারা জমিদখল চাঁদাবাজি ফিটিং দেয়া সহ মাদক বিক্রি করায়। পাসাপাসি তারা নিজেরাও প্রতিনিয়ত মাদক সেবন করে। প্রতিটা গ্যাং এর রয়েছে নিজেদের মাদক ব্যেবসা, চাইলেই হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছে মাদক। এতো কিছুর পরেও রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন চুপ করে আছে,তাদের নাই কোন আইনি তৎপরতা
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী বলেন, উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে অভিযান চালিয়ে তারাবো পৌরসভার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও কিশোরগ্যাংয়ের চার সদস্যকে অস্ত্রসহ গতকাল ১৭অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভোরে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের অন্য সহযোগী ও অন্য কিশোর গ্যাং গ্রুপ গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
Leave a Reply