স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম থেকে :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষককে প্রায় দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে পদত্যাগপত্রে জোর করে সই নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। তবে এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে কোনো কথা বলতে রাজি হননি ভুক্তভোগী শিক্ষক। ধারণা করা হচ্ছে, ভুক্তভোগী শিক্ষক নিরাপত্তার কারণে নীরব এখন।
আজ ২৩ অক্টোবর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষকের নাম রন্টু দাস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, সকালে নিজ বিভাগে এসেছিলেন রন্টু দাস। তখন শিক্ষার্থীদের একটি অংশ তাকে অবরুদ্ধ করে ইতিহাস বিভাগের সভাপতির কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে রন্টু দাসকে শিক্ষকতা থেকে পদত্যাগ করছেন, এমন চিঠি লিখতে চাপ দেওয়া। এই চাপের মুখে রন্টু দাস নিজের পদত্যাগপত্র লেখেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, “শিক্ষার্থীরা একজন শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি করেছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা জানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ওই শিক্ষকের বিতর্কিত ভূমিকা ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে। আমরা উপস্থিত হওয়ার আগেই ওই শিক্ষক একটা কাগজে পদত্যাগপত্র লিখে টেবিলে রাখেন। একপর্যায়ে আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। আমরা শিক্ষকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। ভবিষ্যতে এসব ক্ষেত্রে নিরাপত্তার প্রয়োজন হলে প্রক্টরিয়াল বডি শিক্ষকদের পাশে থাকবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমি পদত্যাগপত্রের ছবি পেয়েছি। তবে মূল কাগজটি পাইনি। মূল কাগজ পেলে আইন অনুযায়ী যা করণীয়, তা করবো।”
এদিকে ভুক্তভোগী চবি শিক্ষক গণমাধ্যমে কোন মন্তব্য না করলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে খবরটা মুহূর্তে ভাইরাল হয় সংবাদটি।
Leave a Reply