মিলন আহমেদ:
রাজধানীর সবুজবাগে ড্রেজার ব্যবসার ভাগ না দেয়ার কারণে রমজান নামের এক ব্যবসায়ীকে এলোপাথারি কুপিয়ে এবং চোখে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩০—অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টার দিকে ডেমরার পার্শ্ববর্তী সবুজ বাগের ভাইগদা এলাকায় জাহাঙ্গীর ঘরের বারান্দায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। মৃত মো.রমজান ড্রেজার ব্যবসা সহ জমি কেনা—বেচার ব্যবসা পরিচালনা করতেন।
তার সাথে ব্যবসায়িক টাকা পয়সার লেনদেন ছিল একই এলাকার জাহাঙ্গীর, হারুন ও মাসুদের সাথে। এ বিষয়ে গতকাল রাতে সবুজবাগ থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী লিজা। সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীরের এলাকায় ড্রেজারে জমি ভরাট সহ জায়গা জমির ব্যবসা ছিলো। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়িক কাজে রমজানের কাছ থেকে দেড় কোটি টাকার ও বেশি ধার নিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম । এই ধারের টাকা চাওয়া নিয়ে রমজানের সাথে জাহাঙ্গীরের সাথে বিরোধ হয় বেশ কয়েকদিন ধরে । তারই সূত্র ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে নিহতের স্ত্রী লিজা দৈনিক আজকের বাংলা কে বলেন, রমজানের সাথে জাহাঙ্গীরের জায়গা জমির ব্যবসা ছিলো। কয়েকদিন আগে ব্যক্তিগত ভাবে বালু ভরাটের দুইটা ড্রেজার কিনে রমজান। কিন্তু জাহাঙ্গীরেরা সেই ড্রেজারের ভাগ চাইতে গেলে রমজান তাদের ভাগ দিতে অস্বীকার করে এবং বলে আমার ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে ড্রেজার কিনে ব্যবসা করছি ড্রেজারের ভাগ তোদের কেন দিবো এতেই বিপত্তি ঘটে জাহাঙ্গীরের। এ ছাড়া রমজানের কাছ থেকে এর আগে দেড় কোটি টাকা হাওলাদ নেয় জাহাঙ্গীর ওই পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাদের সাথে উত্তপ্ত কথাবার্তা হতো এটা নিয়েও জাহাঙ্গীর রমজানের উপর ক্ষিপ্ত ছিলো। এসব কারণেই রমজানকে চিরতরে বিদায় করে দেয়ার জন্য বুধবার জাহাঙ্গীরের বাড়ীতে ডেকে নিয়ে সেখানে রামদা,ছুড়ি দিয়ে আঘাতের পর চোখে গুলি করে রমজানকে হত্যা করা হয়েছে। এরপরে তারা ডাকাতির নাটক সাজিয়ে পুলিশে খবর দেয়। এ বিষয়ে আমরা থানায় গেলে আমাদের অভিযোগ নিতে পুলিশের গড়িমসি করে পরে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আমাদের মামলা গ্রহন করে থানা পুলিশ। কিন্তু সুরত হাল রিপোর্ট পুলিশ উল্লেখ্য করে ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে নাকি তার মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি অন্য খাতে নেয়ার জন্য পুলিশের সাথে অভিযুক্তদের ওমাটা অংকের টাকা বিনিময় হয়েছে। মোটা অংকের টাকা নিয়ে বাস্তব ঘটনা ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।
রমজানের ছোট বোন জানান, বেশ কয়েকদিন যাবত আমার ভাইয়ের সাথে টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে কথা কাটাকাটি হচ্ছে। এবং জাহাঙ্গীর আমার ভাই রমজানকে মেরে ফেলার প্লান করছে। তার প্লান বাস্তবায়ন করার জন্য জাহাঙ্গীর ও হারুন ভাড়াটে গুন্ডা এনে গণপিটুনির নাটক সাজিয়ে ভাইয়াকে হত্যা করে এই হত্যার আমরা সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারী বিচারে দাবি যানাই।
এ বিষয়ে সবুজবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মো.ইয়াছিন বলেন, নিহতের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১২টির মতো মামলা রয়েছে এ ছাড়া আমরা জানতে পেরেছি নিহত রমজান নাকি ডাকাতি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। এবং তার স¦জনেরা বলছেন তাকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাপক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। অপরাধীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply