1. abukowsarmithu@gmail.com : abuko wsarmithu : abuko wsarmithu
  2. admin@dainikgonotontro.com : gontadmin :
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
যুবদলের পক্ষ থেকে ২০২৫ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নড়াগাতীতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি  গণঅভ্যুত্থানে নিহত দুই শহীদ শ্রমিক পরিবারের পাশে শ্রমিক দল জমির মালিককে বাদ দিয়ে সাধারণ কৃষকের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বগুড়া’র শেরপুর সরকারি কলেজে সরস্বতী পূজা নওগাঁয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক আটক নওগাঁয় ৩০ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও গুণীজনদের সম্মাননা শিবির ক্যাডার ছোট সাজ্জাদের সহযোগী জাবেদের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ! কোয়েপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে বক্তারা শিক্ষার্থীরা দেশের আলোকিত ভবিষ্যতের রূপকার শার্শায় গড়ে উঠেছে পুষ্টি নিরাপত্তায় মডেল বাগান

আকবরশাহ’য় ভূমি মালিকদের সভা

  • প্রকাশিত : রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৫৩ বার পাঠ করা হয়েছে

স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম থেকে :

চট্টগ্রাম নগরের সবচাইতে বেশি পাহাড়সমৃদ্ধ এলাকা আকবরশাহ’র অন্তত ৪ শতাধিক পাহাড়-টিলা ও জলাশয় ভূমির মালিক পাহাড়-টিলা কর্তন ও মোচন এবং জলাশয় ভরাট না করার লিখিত অঙ্গীকার করেছেন।
রবিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে আকবরশাহ থানাধীন উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের জয়ন্তিকা ও উত্তর লেকসিটি এলাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্থানীয় ভূমি মালিকেরা সবাই হাত তুলে ও লিখিত আকারে এই অঙ্গীকারপত্র তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চট্টগ্রামের অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও বিভাগীয় পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব মো. সাদি উর রহিম জাদিদের হাতে।
ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদি সমিতি (বেলা) এবং ভোরের আলো। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক সোনিয়া সুলতানা। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরাফাত সিদ্দিকী, ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আকবরশাহ থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার সেলিম, সিএমপির আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. আফতাব হোসেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) চট্টগ্রামের সমন্বয়ক মুনিরা পারভীন রুবা। ভোরের আলো’র প্রতিষ্ঠাতা, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী মো. শফিকুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ভূমি মালিকদের পক্ষ থেকে পাহাড়-টিলা কর্তন/মোচন ও জলাশয় ভরাট না করার লিখিত অঙ্গীকারপত্র তুলে ধরেন জয়ন্তিকা আবাসিক প্লট মালিক কল্যাণ কমিটির আহবায়ক মো. তৌহিদুল ইসলাম। ভূমি মালিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ওহীদুল ইসলাম, সদস্যসচিব মো. কামাল উদ্দীন ও ভূমি মালিকপক্ষের প্রতিনিধি মো. আক্কাস আলী।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন সংশোধিত ২০১০ অনুযায়ী সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত কিংবা ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড় বা টিলা, ছনখেলা কিংবা দৃশ্যমান পাহাড়, জলাশয় যাই হোক না কেন, তা কাটা, মোচন বা ভরাট করা এবং যে কোনো ধরণের স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ। পাহাড় পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষাকারী। জলাশয় বিপদের বন্ধু। পাশাপাশি প্রকৃতির অপার সৃষ্টি এই পাহাড়-টিলা কিংবা জলাশয় আমাদের মানবজাতির বেঁচে থাকার উৎস। এটিকে কোনোভাবেই নষ্ট কিংবা ক্ষতিসাধন কিংবা মোচন করা যাবে না। আমার পরিবারের জন্য পৃথিবীর শত-হাজার কোটি মানুষের ক্ষতি আমরা করতে পারি না। সুতরাং, আমাদের কঠোর এবং শেষ বার্তা হচ্ছে- বন-পরিবেশ-প্রকৃতি কিংবা জলাশয় নিশ্চিহ্ন করে কিংবা ক্ষতি করে কোনো আবাসনের সুযোগ নেই। নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে পাহাড়-টিলা থেকে আপনারা সরে যান। জলাশয় তথা খাল, পুকুর, নদীসহ জলাধার ভরাট করে কিংবা দখল করে যারা স্থাপনা করেছেন বা করছেন তারা তা উন্মুক্ত করে দিন।
তিনি বলেন, আমরা আকবরশাহ এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি। পরিবেশ আইন সবার জন্য। সুতরাং আপনারা নিজেরা যদি সচেতন হন, তাহলে আমাদের আপনাদের উচ্ছেদের প্রয়োজন নেই। কিন্তু যদি পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে কিছু করেন তাতে কোনো ছাড় পাবেন না।
আসুন, আমরা আগামির সুন্দর বাংলাদেশ, প্রাকৃতিক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি পুনঃস্থাপনে কাজ করি।
মতবিনিময় সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিবেশ-প্রকৃতির প্রয়োজনীয়তা, আইন অমান্যের শাস্তি ও ভূমি মালিকদের করণীয় বিষয়ে, বেলার সমন্বয়কারী মুনিরা পারভীন রুবা সুন্দর আগামির জন্য পাহাড়-টিলা ও জলাশয় অবমুক্ত করে তথা সংরক্ষণ করে আগামির নাগরিকদের সুন্দর বাংলাদেশ উপহারের আহবান এবং আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) পাহাড় কাটার সংবাদ পুলিশকে জানানোর এবং পাহাড়ে বা টিলায় একটি কোপও যেন না দেয়া হয় তাতে সতর্ক করে যে কোনো প্রয়োজনে কিংবা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য থানা পুলিশের সহযোগিতা নিতে আহবান জানান। সেই সাথে এই ধরণের অপরার কেউ করলে গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে- যেভাবেই হোক পুলিশকে অবগত করতে ভূমি মালিকদের অনুরোধ জানান। সেই সাথে আইনশৃঙ্থলা রক্ষায় সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক সোনিয়া সুলতানা বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত পাহাড় টিলা কর্তন ও জলাশয় ভরাটের তথ্য পাচ্ছি। আকবরশাহতেও এগুলো হচ্ছে। প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও মামলা দেয়া হচ্ছে। সুতরাং আমরা চাই না আপনাদের কষ্ট দিতে। আপনারা যদি পাহাড়-টিলা বা জলাশয় মোচন থেকে বিরত থাকেন এবং পরিবেশ আইন মেনে চলেন, আমাদের এসব করতে হয় না। আসুন আমরা সবাই মিলে পাহাড়-টিলা ও জলাশয় তথা পরিবেশ সুরক্ষায় একত্রে কাজ করি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি