নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) মেট্রো -৩ এর উত্তরা ডিয়াবাড়ির লাইসেন্স শাখার মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ নাজমুল হাসান অবৈধভাবে ঘুষ দুর্নীতি ও বিভিন্ন তদবির করে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গ্রাহকদের হয়রানির বিভিন্ন ধরনের একাধিক অভিযোগ এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ও নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার বাসিন্দা নাজমুল হাসান। তার ক্ষমতা দেখি চাকরি শুরু থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত ক্ষমতা অপব্যবহার করে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ মেট্রো সার্কেল-৩ সহ অফিসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে অবৈধভাবে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি, ঘুষ-বানিজ্য মাধ্যমে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন মোটরযান পরিদর্শক নাজমুল হাসান। ডিয়াবাড়ী উত্তরা, লাইসেন্স শাখার মটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিআরটিএ এর দালালের মাধ্যমে নিয়োমিত অবৈধভাবে টাকার বিনিময়ে বিআরটিএ এব পরীক্ষা ছাড়াই দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গাড়ীর লাইসেন্স পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিয়ে অবৈধভাবে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। নাজমুল হাসানের অবৈধভাবে দুর্নীতি ঘুষ বাণিজ্যএবং দালালদের মাধ্যমে গ্রাহক হয়রানি ও অবৈধভাবে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপদেষ্টা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন মো. আনিসুজ্জামান। লিখিত অভিযোগে মাধ্যমে জানা গেছে, মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, মটরযান পরিদর্শক, বিআরটিএ মেট্রো সার্কেল- ৩, ডিয়াবাড়ী উত্তরা কর্মরত আছেন। তিনি বর্তমানে বিআরটিএ লাইসেন্স শাখায় কর্মরত আছেন। প্রতিনিয়ত দালালের মাধ্যমে পরীক্ষা ছাড়াই ঘুষের টাকা বিনিময়ে লাইসেন্স পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিয়ে থাকেন। মেট্রো- ৩ বিআরটিএর কয়েক ডজন দালালের সঙ্গে নাজমুল হাসান নিয়মিত যোগাযোগ করে মোটা অংকের ঘুষের টাকার নিয়ে থাকেন বলে সংশ্লিষ্ট অফিসের সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একাধিক অভিযোগ রয়েছে । নাজমুল হাসান টাকার বিনিময়ে প্রতিটি লাইসেন্স পরীক্ষায় পাশ করিয়ে থাকেন। প্রতিটি গাড়ীর লাইসেন্স পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিতে সর্বনিম্ন ৩ হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়ে থাকেন। তার কয়েকজন সহকারীরা এইসব বিষয়ে তাকে সহযোগিতা করে থাকেন। তার নিয়োজিত দালালরা হলেন, দালাল মতি, দুলাল, সোহাগের মাধ্যমে নিয়মিত গ্রাহকের নিকট থেকে টাকা আদায় করে থাকেন । নাজমুল হাসানের এই বিষয়ে একাধিক প্রমান রয়েছে প্রতিবেদকের কাছে। লিখিত অভিযোগে আরো জানা যায়, নাজমুল হাসান ২৬/০৮/১৯৮৫ইং, জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ৮৬৮৯২৮৩৭৩০, টিআইএন নং- ৭৮৬৭৩০২২৮৯১৩, কর সার্ভে সার্কেল- ০৩, কর অঞ্চল- সেন্টাল সার্ভে, ঢাকা। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ বিআরটিএ সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদন ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরে পরিচয় দিয়ে তিনি নিজে এবং তার অফিসের সাবেক এমএলএসএস মাহবুব নিয়মিত গ্রাহকদের নিকট ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিনিয়ত লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ঘুষ দুর্নীতি ও বিভিন্ন অপকর্মের কারণে মাহবুবকে বর্তমানে রাঙ্গামাটি জেলায় বদলী করা হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের দোসর ও বিআরটিএ এর মেট্রো-৩, ডিয়াবাড়ী, উত্তরা এর প্রভাবশালী মটরযান পরিদর্শক নাজমুল হাসান এখনও তার স্বপদে বহাল রয়েছেন। তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো বিআরটিএ তে কোনো কর্তৃপক্ষ নেই বলে তিনি সবার কাছে বলে বেড়ান। তার অবৈধ ক্ষমতার প্রভাবে বিআরটিএ মেট্রো সার্কেল-৩, দিয়াবাড়ী উত্তয়া লাইসেন্স শাখা বর্তমানে ধ্বংঘের দারপ্রান্তে। তার বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বিআরটিএ এর গ্রাহকগণ খুবই উপকৃত হবে। তার ঢাকায় একাধিক বাড়ী এবং কয়েকটি ফ্ল্যাট ও ২টি প্রাইভেট কার রয়েছে এবং কয়েকটি বাস রয়েছে, যা ঢাকা টু নোয়াখালী রোডে চলাচল করে। মটর শ্রমিকের মালিক এনায়েত উল্লা খান এবং তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এনা পরিবহন এর সংগে অংশীদারীতে গাড়ীর ব্যবসা করেন নাজমুল হাসান। বিআরটিএ তে চাকুরী করার সুবাদে তিনি এই সুবিধা গ্রহণ করছেন। তার বিষয়ে তদন্ত করলে আরও অসংখ্য তথ্য পাওয়া যাবে। উপরোক্ত বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপদেষ্টা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।