1. abukowsarmithu@gmail.com : abuko wsarmithu : abuko wsarmithu
  2. admin@dainikgonotontro.com : gontadmin :
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
যুবদলের পক্ষ থেকে ২০২৫ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নড়াগাতীতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি  গণঅভ্যুত্থানে নিহত দুই শহীদ শ্রমিক পরিবারের পাশে শ্রমিক দল জমির মালিককে বাদ দিয়ে সাধারণ কৃষকের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বগুড়া’র শেরপুর সরকারি কলেজে সরস্বতী পূজা নওগাঁয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক আটক নওগাঁয় ৩০ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও গুণীজনদের সম্মাননা শিবির ক্যাডার ছোট সাজ্জাদের সহযোগী জাবেদের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ! কোয়েপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে বক্তারা শিক্ষার্থীরা দেশের আলোকিত ভবিষ্যতের রূপকার শার্শায় গড়ে উঠেছে পুষ্টি নিরাপত্তায় মডেল বাগান

জ্ঞানের আলো এক্সপ্রেস ধাদাশ টু মহাকাশ যাএা শুরু

  • প্রকাশিত : শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৫৭ বার পাঠ করা হয়েছে

পাভেল ইসলাম মিমুল স্টাফ রিপোর্টার

ট্রেনের নাম জ্ঞানের আলো এক্সপ্রেস। টেনটি যাত্রা শুরু করে কলকাকলি স্টেশন থেকে। চলাচল করে ধাদাশ থেকে মহাকাশ পর্যন্ত। এ ট্রেনের তিনটি বগি রয়েছে। তবে এটি কোনো যাত্রীবাহী ট্রেন নয়। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটি একটি স্কুলভবন।

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ধাদাশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ট্রেনের আদলে সাজানো হয়েছে। মূলত শিক্ষার্থীদের স্কুলের প্রতি আকৃষ্ট করতেই এমন উদ্যোগ।

বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে,সুন্দর করে সাজানো স্কুলটি। স্কুলে প্রবেশ পথে দেখা মিলবে একটি বিশ্ব মানচিত্রের গ্লোব। এর পাশেই একটি ভাবন। সে ভবনে রয়েছে প্রাক-প্রাথমিক ও শিশু শ্রেণির ক্লাস রুম। প্রতিটি ক্লাসরুম বেশ সাজানো। দেয়ালে আঁকা বিভিন্ন চিত্র থেকে পড়ানো হয় শিশুদের। এক পাশে রাখা আছে শিশুদের জন্য খেলার সব সামগ্রী। এসব ভবনের ছাদে আঁকা আছে মহাকাশ। পাশের দেওয়ালে আঁকা আছে মিনা-রাজুসহ বেশকিছু কার্টুন।

ভবনের ঠিক উল্টো পাশে ট্রেনের আদলে ভবন। দেওয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ট্রেনের আকার। রঙ দিয়ে বানানো হয়েছে কাঁচের জানালাও। ভবনের টিনের সঙ্গে একটি বোর্ডে লিখা আছে কলকাকলি স্টেশন। পাশে একটি কাগজের ওপর লেখা ‘জ্ঞানের আলো এক্সপ্রেস’। লাগানো আছে বগি নম্বর। সেই বগির নম্বর দেওয়া হয়েছে ৬২০৫। পাশেই লেখা আছে গন্তব্য ধাদাশ টু মহাকাশ। তার একটু দূরে লেখা আছে আরেকটি বগি নম্বর। সেটির নম্বর ৬২৭১। মূলত এসব বাগি হলো এক একটি ক্লাস রুম। এ ট্রেনে তিনটি ক্লাসরুম রয়েছে।

স্কুলের শিক্ষার্থীরা বলেন,আমাদের আগে ক্লাসরুম ভালো লাগতো না। এখন বেশ ভালো লাগে। এটির জন্য সাবই আগে ক্লাসে চলে আসি।এখন আমাদের খুব ভালো লাগে। মনে হয় ট্রেনে চড়ে ক্লাস করছি।

স্কুলটির শিক্ষিকা ফারজানা খাতুন বলেন,আসলে ভবনটি অনেক পুরাতন। এটি দেখতেও খারাপ লাগতো। প্রধান শিক্ষিকা এটি নিয়ে একটি আইডিয়া চান। পরে এটিকে নিয়ে বানান। এটি বানানোর পর অনেক ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে সত্যি সত্যি ট্রেন। আসলে এটি একটি রূপক ট্রেন। এটি হবার পর শিক্ষার্থীরা অনেক আগ্রহী হয়েছে। তারাও ক্লাসে আসছে। আমাদেরও বেশ ভালো লাগছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দিলরুবা খাতুন বলেন,কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এখান থেকে শুরু করে আরও বড় বড় জায়গাতে যাবে। এ চিন্তা থেকেই এটি করা হয়েছে।

তিনি বলেন,শিক্ষার্থীদের এ ভবনটি নষ্ট ছিল। আমাদের নতুন ভবনগুলো বেশ ভালো। তাদেরগুলো অনেক সুন্দর কিন্তু পুরাতন এ ভবনটি এতটা ভালো ছিল না। তাই তারা একদিন আমার কাছে দাবি করে এটি নতুনের মত করে দিতে। পরে তারা কেউ মহাকাশ চাই। কেই বাঘ, কেউ এরোপ্লেন চাই। সব ভেবে আমার ট্রেন বানিয়েছি। এটি হবার পর থেকে আমাদের উপস্থিত হার বেড়েছে। মূলত ছাত্রদের স্কুল মুখি করতে এমন কাজ করা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি