1. abukowsarmithu@gmail.com : abuko wsarmithu : abuko wsarmithu
  2. admin@dainikgonotontro.com : gontadmin :
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে গেলেন ইসকনের ৭৫ জন ভক্ত মিথ্যা অপপ্রচার ও ভিডিও সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ- কাদরা প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের নিম্নমানের কাজের বিরুদ্ধে মানববন্ধন হতদরিদ্র পরিবারের প্রতিবন্ধী তিন বোন বেঁচে থাকতে চায় পুঠিয়ায় বাসের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু ১১ শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ মুক্ত ১৭৪ ও পলাতক ৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ : কারা মহাপরিদর্শক বিএনপি”র ৩১ দফা প্রচারে কেন্দ্রীয় যুবদল মদনে আনজুমান-এ-মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারীর প্রস্তুতি সভা ৬ ডিসেম্বর ক্ষুদিরাম এক্কা এর মৃত্যুতে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের শোক প্রকাশ বেনাপোল দিয়ে ৩ দিনে ১৬৪৮ ট্রাক পণ্য ও প্রায় ১২ হাজার পাসপোর্টযাত্রী চলাচল করেছে

অদৃশ্য মহলের ইন্ধনে স্কুল ছাত্র অস্ত্র মামলায় কারাগারে ; উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ দাবী

  • প্রকাশিত : শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৯ বার পাঠ করা হয়েছে

স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম থেকে :

টেকনাফে বিশেষ মহলের ইন্ধনে পুলিশ যোগসাজশ করে স্কুল ছাত্র ও মেম্বারপুত্রকে অস্ত্র মামলায় কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

এতে তদন্ত সাপেক্ষে এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন মহলের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
আজ ২৯ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান-২ এবং ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার রেজাউল করিমের বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল করিম মেম্বারসহ আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়,আমাদের সন্তান তাওসিফুল করিম রাফি হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র ও গত ২৮ নভেম্বর হতে শুরু হতে যাওয়া বার্ষিক পরীক্ষার্থী ছিল। গত ২৬ নভেম্বর ভোর ৪টায় টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের এসআই বদিউল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হ্নীলা দরগাহ পাড়াস্থ প্রবাসী জনৈক নুরুল আমিনের বাড়িতে অস্ত্র ও বুলেট উদ্ধারের পর স্থানীয় মেম্বার হিসেবে রেজাউল করিম মেম্বারকে ডাকাডাকি করলে বাড়ির গৃহকত্রী সরল বিশ্বাসে বসত-গৃহের দরজা খুলে দিলে মেম্বারকে খুজেঁ না পেয়ে রুমের দরজায় লাথি মেরে রুম খুলে আমাদের ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর মৃত্যু ও গুলিবর্ষণের ভয়ভীতি দেখিয়ে জবানবন্দি রেকর্ড করে আমাদের পারিবারিক ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের পরামর্শে ও আর্থিক বশীভূত হয়ে উক্ত অস্ত্রাদি আমার ছেলের নিকট পাওয়া গেছে বলে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে। যা খুবই নিন্দনীয় এবং ঘৃণিত। এক শিশু বয়সের অবুঝ শিশুকে বিশেষ মহলের ইন্ধনে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে এক বছরের শিক্ষা জীবন নষ্ট করে দেওয়া কোনমতে কাম্য নয়। যা দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা ঝড় তুলে পুলিশের সুনামকে হাস্যরসে পরিণত করেছে। আমরা অনিয়ম, দূর্নীতি ও বৈষম্যবিরোধী সরকারের নিকট এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুবিচার দাবী করছি।
আমরা ভুক্তভোগী পরিবার সাংবাদিকদের মাধ্যমে জাতির কাছে বিচার দিতে চাই যে, একজন ৭ম শ্রেণীর ছাত্র ভোর সোয়া ৪টার দিকে বসতগৃহ থেকে প্রায় ২শ গজ দূরে নুরুল আমিনের বসতগৃহে কি জন্য এবং কেন যাবে? অথচ মামলার স্বাক্ষীরা জবানবন্দি দিচ্ছে নুরুল আমিনের বাড়ির আলমিরা হতে এসব উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার স্বাক্ষী ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করলে আসল সত্যটা বেরিয়ে আসবে।
আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষগণ আমি এবং আমার পরিবারকে চিরতরে দুনিয়া থেকে শেষ করে দিতে একের পর এক হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের পরিবারের ভদ্র, নম্র ও লাজুক সন্তানকে এত বড় জঘন্য মিথ্যা মামলায় আসামী করে আমাদের শত্রুপক্ষকে উল্লাসে মাতিয়েছে। এই জঘন্য ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার বিষয়ে আমরা ভোক্তভোগী পরিবার আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি, ডিআইজি, গোয়েন্দা সংস্থাসমুহ ও কক্সবাজার পুলিশ সুপারের ‌দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

কক্সবাজারে পৃথক অভিযানে আটক ৭, এলজি ও গুলি উদ্ধার কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গত এক সপ্তাহে বিপুল পরিমাণের অস্ত্র উদ্ধারসহ ৩০ জনের বেশি অপরাধীদের আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) ও মঙ্গলবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে দুটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ ও বিদেশি ছুরিসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি টিম শহরে টহলে বের হয়। এমন সময় খুরুশকুলের ছনখোলা বাজার রোড-সাম্পানঘাটের জাহাঙ্গীর কাশেমের মাছের প্রজেক্টের সম্মুখে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সিএনজি দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। এসময় উক্ত সিএনজি তল্লাশি করলে অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। পাশাপাশি সিএনজিতে থাকা দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাড়ি থেকে দেশীয় তৈরি দুটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন—কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের লিংক রোড মুহুরী পাড়ার বজল কবিরের ছেলে সিএনজি চালক আব্দুর রহিম ইলিয়াস (৩৮), একই এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মোহাম্মদ ওসমান (৫৪)। জানা গেছে, গ্রেপ্তার আসামিরা উপকূল দিয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এনে শহরের বিভিন্ন এলাকার অপরাধীদের কাছে সরবরাহ করছিল। এদিকে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের অভিযানে বিদেশি ও দেশীয় তৈরি পাঁচটি ছুরিসহ পাঁচ ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১টি ধারালো টিপ ছুরি, ৪টি ধারালো ফোল্ডিং ছুরি ও ১টি ব্যাটারিচালিত টমটম অটোরিকশা। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভোরে সদর থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়। আটক পাঁচ ছিনতাইকারী হলেন—সমিতি পাড়ার আলী হোসেনের ছেলে মো. সাহেদ হোসেন (১৮), একই এলাকার নুর নবীর ছেলে মো. রহিম (১৯), মোক্তার আহমদের ছেলে মো. রাকিব (১৯), চকরিয়া ঢেমুশিয়ার নুর নবীর ছেলে শহীদ হোসাইন (২৫) ও মহেশখালীর কুতুবজোম চরপাড়ার নবাব সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আব্দুর রহিম (১৬)। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান বলেন, কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানা পুলিশের অভিযানে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রেকর্ড করে আদালতের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি সময়ে যে সকল অস্ত্রবাজ ও ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে। যেন তাদের কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুরো অপরাধী সিন্ডিকেট আইনের আওতায় আনা যায়।

কক্সবাজারে পৃথক অভিযানে আটক ৭, এলজি ও গুলি উদ্ধার কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গত এক সপ্তাহে বিপুল পরিমাণের অস্ত্র উদ্ধারসহ ৩০ জনের বেশি অপরাধীদের আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) ও মঙ্গলবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে দুটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ ও বিদেশি ছুরিসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি টিম শহরে টহলে বের হয়। এমন সময় খুরুশকুলের ছনখোলা বাজার রোড-সাম্পানঘাটের জাহাঙ্গীর কাশেমের মাছের প্রজেক্টের সম্মুখে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সিএনজি দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। এসময় উক্ত সিএনজি তল্লাশি করলে অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। পাশাপাশি সিএনজিতে থাকা দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাড়ি থেকে দেশীয় তৈরি দুটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন—কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের লিংক রোড মুহুরী পাড়ার বজল কবিরের ছেলে সিএনজি চালক আব্দুর রহিম ইলিয়াস (৩৮), একই এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মোহাম্মদ ওসমান (৫৪)। জানা গেছে, গ্রেপ্তার আসামিরা উপকূল দিয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এনে শহরের বিভিন্ন এলাকার অপরাধীদের কাছে সরবরাহ করছিল। এদিকে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের অভিযানে বিদেশি ও দেশীয় তৈরি পাঁচটি ছুরিসহ পাঁচ ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১টি ধারালো টিপ ছুরি, ৪টি ধারালো ফোল্ডিং ছুরি ও ১টি ব্যাটারিচালিত টমটম অটোরিকশা। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভোরে সদর থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়। আটক পাঁচ ছিনতাইকারী হলেন—সমিতি পাড়ার আলী হোসেনের ছেলে মো. সাহেদ হোসেন (১৮), একই এলাকার নুর নবীর ছেলে মো. রহিম (১৯), মোক্তার আহমদের ছেলে মো. রাকিব (১৯), চকরিয়া ঢেমুশিয়ার নুর নবীর ছেলে শহীদ হোসাইন (২৫) ও মহেশখালীর কুতুবজোম চরপাড়ার নবাব সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আব্দুর রহিম (১৬)। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান বলেন, কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানা পুলিশের অভিযানে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রেকর্ড করে আদালতের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি সময়ে যে সকল অস্ত্রবাজ ও ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে। যেন তাদের কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুরো অপরাধী সিন্ডিকেট আইনের আওতায় আনা যায়।

© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি