1. abukowsarmithu@gmail.com : abuko wsarmithu : abuko wsarmithu
  2. admin@dainikgonotontro.com : gontadmin :
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে গেলেন ইসকনের ৭৫ জন ভক্ত মিথ্যা অপপ্রচার ও ভিডিও সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ- কাদরা প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের নিম্নমানের কাজের বিরুদ্ধে মানববন্ধন হতদরিদ্র পরিবারের প্রতিবন্ধী তিন বোন বেঁচে থাকতে চায় পুঠিয়ায় বাসের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু ১১ শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ মুক্ত ১৭৪ ও পলাতক ৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ : কারা মহাপরিদর্শক বিএনপি”র ৩১ দফা প্রচারে কেন্দ্রীয় যুবদল মদনে আনজুমান-এ-মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারীর প্রস্তুতি সভা ৬ ডিসেম্বর ক্ষুদিরাম এক্কা এর মৃত্যুতে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের শোক প্রকাশ বেনাপোল দিয়ে ৩ দিনে ১৬৪৮ ট্রাক পণ্য ও প্রায় ১২ হাজার পাসপোর্টযাত্রী চলাচল করেছে

রূপগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের মামলার আসামী বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আট নেতাকর্মী

  • প্রকাশিত : শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪
  • ২৩ বার পাঠ করা হয়েছে

মোঃ আবু কাওছার মিঠু

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলির ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলায় আসামী করা হয়েছে রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৮ নেতাকর্মীকে।

এ ঘটনাকে উদ্দেশ্যেপ্রনোদিত অভিহিত করে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন এ দাবি জানান।
যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আট নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

ইতিপূর্বেও তাদের বিরুদ্ধে অপর একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করলে নেতৃবৃন্দ বিগত ৫ নভেম্বর নিম্ম আদালত থেকে জামিন প্রাপ্ত হয়। এ ঘটনায় কুচক্রী মহল আরও ক্ষিপ্ত হয়ে সম্পূর্ন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাদের হয়রানি করার হীন উদ্দেশ্যে স্থানীয় আওয়ামী নেতাকর্মীদের যোগসাজেশে এবং প্রশাসনের কতিপয় অসত্ কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরও একটি মিথ্যা মামলায় সম্পৃক্ত করে।
এহেন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যেন অবিলম্বে মিথ্যা পাতানো মামলা প্রত্যাহারের করা হয়।

জানা গেছে, গত ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হন বাড্ডা টেকপাড়ার নাছির মিয়ার ছেলে আল আমিন হোসেন (৩০)। এ ঘটনায় গত ৬ নভেম্বর দায়েরকৃত একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজামানসহ ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৪০/৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। ওই মামলায় রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন, ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য কামাল মিয়া, ১নং ওয়ার্ড যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু তাহের, সহ-সভাপতি রাসেল আহম্মেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম, ক্রীড়া সম্পাদক নুরুজ্জামান নুরু, প্রচার সম্পাদক মামুন মিয়া, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মামুনুর রহমান মামুনকেও আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এ মামলাকে মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক অ্যাখ্যা দিয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রূপগঞ্জের বিএনপির সকল নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেছে।

ফ্যাসিস্ট সরকার পতনে তারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। সেই সকল বিএনপির নেতাকর্মীরা দায়েরকৃত এ মামলায় কীভাবে আসামী করা হয় তার আমার বোধগম্য নয়।’
এর আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ২০ জুলাই রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এ.এম.জেড হাসপাতালের সামনে গুলিবিদ্ধ হয় এমদাদুল হক(২৬) নিহতের ঘটনায় করা মামলায় উক্ত নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়। ওই মামলায় গত ৫ নভেম্বর নিম্ম আদালত থেকে জামিন নেন রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
কায়েতপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বার বার মামলায় আসামী করা প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন, আওয়ামী নেতাকর্মীদের যোগসাজসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের জড়ানো হয়েছে।
এসব মামলা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের অব্যহতি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিগত দিনে আমরা যেভাবে লড়াই করেছি, সেভাবে ভবিষ্যতেও তাদের রুখতে একবিন্দুও ছাড় দেবোনা। তাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে ফ্যাসিবাদ-বাকশালের মূলোত্পাটন করবো ইনশাল্লাহ। তারা জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে নানান ষড়যন্ত্র করে চলেছে দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে। আমরা সকলকে সতর্ক ও সদা সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানাচ্ছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

কক্সবাজারে পৃথক অভিযানে আটক ৭, এলজি ও গুলি উদ্ধার কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গত এক সপ্তাহে বিপুল পরিমাণের অস্ত্র উদ্ধারসহ ৩০ জনের বেশি অপরাধীদের আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) ও মঙ্গলবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে দুটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ ও বিদেশি ছুরিসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি টিম শহরে টহলে বের হয়। এমন সময় খুরুশকুলের ছনখোলা বাজার রোড-সাম্পানঘাটের জাহাঙ্গীর কাশেমের মাছের প্রজেক্টের সম্মুখে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সিএনজি দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। এসময় উক্ত সিএনজি তল্লাশি করলে অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। পাশাপাশি সিএনজিতে থাকা দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাড়ি থেকে দেশীয় তৈরি দুটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন—কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের লিংক রোড মুহুরী পাড়ার বজল কবিরের ছেলে সিএনজি চালক আব্দুর রহিম ইলিয়াস (৩৮), একই এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মোহাম্মদ ওসমান (৫৪)। জানা গেছে, গ্রেপ্তার আসামিরা উপকূল দিয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এনে শহরের বিভিন্ন এলাকার অপরাধীদের কাছে সরবরাহ করছিল। এদিকে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের অভিযানে বিদেশি ও দেশীয় তৈরি পাঁচটি ছুরিসহ পাঁচ ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১টি ধারালো টিপ ছুরি, ৪টি ধারালো ফোল্ডিং ছুরি ও ১টি ব্যাটারিচালিত টমটম অটোরিকশা। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভোরে সদর থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়। আটক পাঁচ ছিনতাইকারী হলেন—সমিতি পাড়ার আলী হোসেনের ছেলে মো. সাহেদ হোসেন (১৮), একই এলাকার নুর নবীর ছেলে মো. রহিম (১৯), মোক্তার আহমদের ছেলে মো. রাকিব (১৯), চকরিয়া ঢেমুশিয়ার নুর নবীর ছেলে শহীদ হোসাইন (২৫) ও মহেশখালীর কুতুবজোম চরপাড়ার নবাব সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আব্দুর রহিম (১৬)। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান বলেন, কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানা পুলিশের অভিযানে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রেকর্ড করে আদালতের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি সময়ে যে সকল অস্ত্রবাজ ও ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে। যেন তাদের কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুরো অপরাধী সিন্ডিকেট আইনের আওতায় আনা যায়।

কক্সবাজারে পৃথক অভিযানে আটক ৭, এলজি ও গুলি উদ্ধার কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গত এক সপ্তাহে বিপুল পরিমাণের অস্ত্র উদ্ধারসহ ৩০ জনের বেশি অপরাধীদের আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) ও মঙ্গলবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে দুটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ ও বিদেশি ছুরিসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি টিম শহরে টহলে বের হয়। এমন সময় খুরুশকুলের ছনখোলা বাজার রোড-সাম্পানঘাটের জাহাঙ্গীর কাশেমের মাছের প্রজেক্টের সম্মুখে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সিএনজি দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। এসময় উক্ত সিএনজি তল্লাশি করলে অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। পাশাপাশি সিএনজিতে থাকা দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাড়ি থেকে দেশীয় তৈরি দুটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন—কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের লিংক রোড মুহুরী পাড়ার বজল কবিরের ছেলে সিএনজি চালক আব্দুর রহিম ইলিয়াস (৩৮), একই এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মোহাম্মদ ওসমান (৫৪)। জানা গেছে, গ্রেপ্তার আসামিরা উপকূল দিয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এনে শহরের বিভিন্ন এলাকার অপরাধীদের কাছে সরবরাহ করছিল। এদিকে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের অভিযানে বিদেশি ও দেশীয় তৈরি পাঁচটি ছুরিসহ পাঁচ ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১টি ধারালো টিপ ছুরি, ৪টি ধারালো ফোল্ডিং ছুরি ও ১টি ব্যাটারিচালিত টমটম অটোরিকশা। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভোরে সদর থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়। আটক পাঁচ ছিনতাইকারী হলেন—সমিতি পাড়ার আলী হোসেনের ছেলে মো. সাহেদ হোসেন (১৮), একই এলাকার নুর নবীর ছেলে মো. রহিম (১৯), মোক্তার আহমদের ছেলে মো. রাকিব (১৯), চকরিয়া ঢেমুশিয়ার নুর নবীর ছেলে শহীদ হোসাইন (২৫) ও মহেশখালীর কুতুবজোম চরপাড়ার নবাব সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আব্দুর রহিম (১৬)। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান বলেন, কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানা পুলিশের অভিযানে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রেকর্ড করে আদালতের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি সময়ে যে সকল অস্ত্রবাজ ও ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে। যেন তাদের কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুরো অপরাধী সিন্ডিকেট আইনের আওতায় আনা যায়।

© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি