1. abukowsarmithu@gmail.com : abuko wsarmithu : abuko wsarmithu
  2. admin@dainikgonotontro.com : gontadmin :
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
Welcome To Our Website...www.dainikgonotontro.com .....সারা দেশব্যাপী সংবাদ কর্মী নিয়োগ চলছে...
শিরোনাম :
নানাবাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু নরসিংদীর পলাশে কলাবাগান থেকে অটো চালকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার। ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ভুয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অস্ত্রসহ গ্রেফতার বগুড়ায কিশোরী নিয়ে বিয়ে করতে না পারায় বাবা শাকিলকে পিটিয়ে হত্যা : জিতুসহ গ্রেফতার ৩ নাসিক ৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন শ্রীমঙ্গলে ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অনুষ্ঠিত বেনাপোলে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার মাঠে নেমেছে পিবিআই যশোরের শার্শায় দুলা ভাইয়ের ঘের মাছ লুট করলো আপন শ্যালক প্রয়াতা স্মৃতি রানী শীলের মৃত্যুতে মহা গীতা যজ্ঞ অনুষ্ঠিত বাবার অমতে মেয়ের বিয়ে সংঘর্ষে আহত ৭ জন

ঠাকুরগাঁও পাক হানাদারমুক্ত দিবস

  • প্রকাশিত : সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৬৭ বার পাঠ করা হয়েছে

স ম জিয়াউর রহমান :

আগামীকাল ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও পাকিস্তানী হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঠাকুরগাঁও পাক হানাদার মুক্ত হয়। ঠাকুরগাঁও তখন মহকুমা ছিল। ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় জেলার ১০টি থানা মিলে ঐ মহকুমা ছিল। এ অঞ্চলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণপণ লড়াই আর মুক্তিকামী জনগণের দুর্বার প্রতিরোধে নভেম্বরের শেষ দিক থেকেই পিছু হটতে শুরু করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। চুড়ান্ত বিজয় আসে আজকের এই দিনটিতে।

১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাতে পাক হানাদাররা ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠাকুরগাঁওয়ের সহজ সরল মানুষের ওপর। এ সময় হানাদাররা গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, লুন্ঠণ ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এরপর ১৫ই এপ্রিল আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকবাহিনীর দখলে চলে যায় ঠাকুরগাঁও। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলে পরিচিত ঠাকুরগাঁওয়ের ইসলামনগর থেকে ছাত্রনেতা আহাম্মদ আলী, ইয়াকুব আলী, মাজারুল, দবিরুল ইসলাম, নুরুজ্জামান ও সিরাজউদ্দীনকে ধরে এনে পাক হানাদার বাহিনী ঠাকুরগাঁও ক্যাম্পে আটক করে রাখে। পরে তাদের হত্যা করে টাঙ্গন নদীর পারে ফেলে রাখা হয়। যেখানে বর্তমানে বধ্যভুমি গড়ে তোলা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও তখন ছিল ৬ নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত। কমান্ডার ছিলেন বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার এম খাদেমুল বাশার। এ সেক্টরে প্রায় ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ছিল। ২৯ নভেম্বর এ মহকুমার পঞ্চগড় থানা প্রথম শক্রমুক্ত হয়। পঞ্চগড় হাত ছাড়া হওয়ার পর পাকবাহিনীর মনোবল ভেঙে যায়। এরপর তারা প্রবেশ করে ঠাকুরগাঁওয়ে। ২ ডিসেম্বর রাতে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচুর গোলাগুলি শুরু হয়। ঐ রাতেই শক্রবাহিনী ঠাকুরগাঁও থেকে পিছু হটে ২৫ মাইল নামক স্থানে অবস্থান নেয়। ৩ ডিসেম্বর ভোররাতে ঠাকুরগাঁও শহর শক্রমুক্ত হয়। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ফাড়াবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধার পিতা শেখ শহর আলী ও তার ভাই শেখ বহর আলীসহ ১৯ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে ধরে এনে হত্যা করে তাদের মরদেহ আব্দুর রশিদ ডিগ্রি কলেজের পাশের একটি কূপে ফেলে দেয়। হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা গণহত্যা চালায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জাঠিভাঙ্গা গ্রামে। সেখানে স্থানীয় কিছু লোকের সহায়তায় আশ-পাশের অনেক গ্রামের প্রায় ৩ হাজার নিরীহ গ্রামবাসীকে ধরে এনে পাকবাহিনী গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। পরে তাদের মরদেহ মাটি চাপা দেয়া হয়। ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক স্থানে গণহত্যা চালায় পাকবাহিনী ও তার দোসররা। এরই মধ্যে সুসংগঠিত হতে থাকে ঠাকুরগাঁওয়ের মুক্তিকামি মানুষ। তারা হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গড়ে তুলে দুর্বার প্রতিরোধ। ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকবাহিনীর পতনের পর এ এলাকার সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ে মুক্তির উল্লাস। আনন্দ উদ্বেলিত কন্ঠে ‘জয়বাংলা’ ধ্বনি আর হাতে প্রিয় স্বদেশের পতাকা নিয়ে ছুটাছুটি করতে থাকে তরুণ-যুবক সবাই। এদিন সকাল থেকেই ঠাকুরগাঁও শহর সহ জনপদ ও লোকালয়ে মানুষ জড়ো হতে থাকে। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বের হয় আনন্দের মিছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের জয়ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে ঠাকুরগাঁও শহর।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি