1. abukowsarmithu@gmail.com : abuko wsarmithu : abuko wsarmithu
  2. admin@dainikgonotontro.com : gontadmin :
রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আল্লাহু আল্লাহু জিকিরের মাধ্যমে নিজের আত্মিক উন্নয়নের জন্যই ওরশ শরীফ -সৈয়দ সহিদুল হক মাইজভাণ্ডারী মাদক, ও অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি ঈদগাঁও ৭ নং ওয়ার্ড থেকে রোহিঙ্গা ফায়সাল ও তার ভাই থানা পুলিশের খাঁচায় যশোর জেলায় শার্শা উপজেলা বিএন পি শাখার ১১ বিশিষ্ট আংশিক কমিটি গঠন ইলোরা আন্তর্জাতিক সাহিত্য কাননের ৫ম বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত গাজীপুরে ১০ দিন আটকে রেখে নির্যাতনসহ মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন সাংবাদিক মাতার মৃত্যুতে প্রেস ক্লাবে দোয়া মাহফিল  মিলন বৈদ্য শুভ, রাউজান,চট্টগ্রাম রাউজান প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি, দৈনিক আমাদের সময় ও দৈনিক আজাদী (মাল্টিমিডিয়া) প্রতিনিধি মো.হাবিবুর রহমানের মা হোছনারা বেগম ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্নালিল্লাহে…. রাজেউন)। শনিবার সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটের সময় নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।   তিনি রাউজান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নুর আহম্মদ মিস্ত্রি বাড়ির মো. মুছার স্ত্রী এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. আলী সুমনের মা। এছাড়া তিনি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মতিউর রহমানের মেয়ে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তিনি স্বামী, দুই ছেলে, তিন মেয়ে নাতি-নাতনীসহ আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে রাউজান প্রেসক্লাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।একইদিন রাউজান প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মোনাজাত করেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাওলানা এম বেলাল উদ্দিন। সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র বিতরণ আরাফাত রহমান কোকো’র ১০ মৃত্যু বার্ষিকীতে হুলাইন বিএনপির পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ রূপগঞ্জে ওয়াসার কাজে বিদেশী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দূর্ণীতির প্রতিবাদে ও বকেয়া টাকা পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন গুন্ডামী দখলবাজি সুস্পষ্ট অভিযোগের দায়ে যুবদল নেতা মিথ্যাচারী আশরাফ ভূঁইয়া বহিস্কার

যশোরের বেনাপোল মুক্ত দিবস আজ

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২৬ বার পাঠ করা হয়েছে

মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি:-

আজ ৩ ডিসেম্বর, যশোরের সীমান্ত বেনাপোল মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিন মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে বেনাপোল, শার্শা এলাকা ছেড়ে পিছু হটতে থাকে পাক বাহিনী এবং তাদের দোসররা। আশ্রয় নেয় শার্শার আমড়াখালি সদর ও পরের দিন আঞ্চলিক সদর দপ্তর নাভারনে।

এর আগে, ডিসেম্বর ২ তারিখ রাতে বেনাপোল বাজার থেকে আড়াই কিলোমিটার উত্তর পশ্চিম পাশে রঘুনাথপুর গ্রাম ছেড়ে পালায় পাক বাহিনী এবং তাদের দোসররা। আশ্রয় নেয় প্রায় ৩ কিলোমিটার পুর্বে পোড়াবাড়ি নারানপুর মাঠ পাড়ার ব্যাটালিয়ন সদরে। ৩ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে দু‘পক্ষের সম্মুখ যুদ্ধে ও মুহুর্মুহু কামানের গুলিতে তছনছ হয়ে যায় নারানপুরে পাক সেনাদের চৌকি। মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে আগেরদিন পাক সেনারা রঘুনাথপুর ইপিআর ক্যাম্প ছেড়ে রাতের আঁধারে পালিয়ে বাঁচে।

পাকসেনাদের পিছু হটার খবর পেয়ে বেনাপোলের ওপারে ভারতের বনগাঁর জয়ন্তিপুর থেকে সোজা রঘুনাথপুরের পাশের গ্রাম মানিকিয়ায় ছুটে আসেন মিত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন মিঃ রায়সহ দু‘দেশের উদ্ধর্তন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা। তাদের নির্দেশে ৩ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে দু‘জন মুক্তিযোদ্ধা ৪টি গ্রেনেড নিয়ে রেকি করতে যায় নারানপুর ব্যাটালিয়নের আশপাশে। ক্ষুধায় কাতর মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরে ডেকে নিয়ে ইউসুফ নামের এক লোক পেটভরে খেতে দেয় দুধ মুড়কি আর চিড়ে। খাওয়া শেষে ঘর থেকে নামার সাথে সাথে পাকবাহিনী তাদেরকে ঘিরে ফেলে। জীবন নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে পাশের কোদলা নদীতে। মুক্তিযোদ্ধাদের লক্ষ্য করে পাকবাহিনী বৃস্টির মত ছুড়তে থাকে গুলি। খবর চলে যায় ২ কিলোমিটার দুরে ৩ প্লাটুন সৈন্য নিয়ে মানিকিয়া গ্রামে অবস্থানরত মিত্র বাহিনীর কমান্ডার মিঃ রায়ের নিকট।

বেনাপোলের ওপারে জয়ন্তিপুরে তখন ৫ নং সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্বে তৌফিক ইলাহী। উনার সাহসিকতায় সেদিন শুরু হয় প্রবল প্রতিরোধ যুদ্ধ। প্রচন্ড গোলাগুলির খবরে ভীত সন্তস্থ পাক বাহিনী পুটখালি, শিকড়ি বটতলা, বেনাপোল কাস্টমস হাউজ এলাকা ছেড়ে রাতের আঁধারে পিছু হেটে আশ্রয় নেয় যশোর-বেনাপোল সড়কের আমড়াখালি কোম্পানির সদর দপ্তরে। এভাবেই শক্রমুক্ত হয় বন্দর নগরী বেনাপোল। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুক্তির আনন্দে উচ্ছ¡সিত মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ঢল নামে বেনাপোলে। পাড়া মহল্লায়ও চলে খন্ড খন্ড আনন্দ মিছিল। মুক্তির আনন্দে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানে ফেটে পড়ে গোটা বেনাপোলের মানুষ।

সংঘবদ্ধ মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় দ্বিগুন সাহস নিয়ে চলতে থাকে একের পর এক অপারেশন। ৪ ডিসেম্বর শার্শা ও নাভারন এবং ৫ ডিসেম্বর ঝিকরগাছা দখলমুক্ত হয়। আর ৬ ডিসেম্বর মুক্ত হয় যশোর জেলা। এদিন পাকসেনারা ঝিকরগাছা ছেড়ে আশ্রয় নেয় খুলনার শিরোমনি ক্যাম্পে।

এভাবেই ৩ ডিসেম্বর বেনাপোল এবং ৫ ডিসেম্বর ঝিকরগাছা এলাকা দখলদার পাকবাহিনীর কাছ থেকে স্বাধীন হবার গল্প শোনাচ্ছিলেন স্থানীয় দুর্গাপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা দীন মোহাম্মদ ওরফে দীনো ও বেনাপোল মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহ আলম।

বেনাপোলের মুক্তিযোদ্ধা দীন ইসলাম ও শাহ আলম জানান, ৮নং সেক্টরের অধীনে যুদ্ধে অংশ নেওয়া বীরদের বলিষ্ঠ প্রতিরোধের মুখে বেনাপোল ও শার্শা থেকে শুরু হয়ে সমগ্র যশোর এলাকা শক্রমুক্ত হয়।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

সাংবাদিক মাতার মৃত্যুতে প্রেস ক্লাবে দোয়া মাহফিল  মিলন বৈদ্য শুভ, রাউজান,চট্টগ্রাম রাউজান প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি, দৈনিক আমাদের সময় ও দৈনিক আজাদী (মাল্টিমিডিয়া) প্রতিনিধি মো.হাবিবুর রহমানের মা হোছনারা বেগম ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্নালিল্লাহে…. রাজেউন)। শনিবার সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটের সময় নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।   তিনি রাউজান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নুর আহম্মদ মিস্ত্রি বাড়ির মো. মুছার স্ত্রী এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. আলী সুমনের মা। এছাড়া তিনি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মতিউর রহমানের মেয়ে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তিনি স্বামী, দুই ছেলে, তিন মেয়ে নাতি-নাতনীসহ আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে রাউজান প্রেসক্লাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।একইদিন রাউজান প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মোনাজাত করেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাওলানা এম বেলাল উদ্দিন।

© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি