1. abukowsarmithu@gmail.com : abuko wsarmithu : abuko wsarmithu
  2. admin@dainikgonotontro.com : gontadmin :
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
যুবদলের পক্ষ থেকে ২০২৫ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নড়াগাতীতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি  গণঅভ্যুত্থানে নিহত দুই শহীদ শ্রমিক পরিবারের পাশে শ্রমিক দল জমির মালিককে বাদ দিয়ে সাধারণ কৃষকের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বগুড়া’র শেরপুর সরকারি কলেজে সরস্বতী পূজা নওগাঁয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক আটক নওগাঁয় ৩০ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও গুণীজনদের সম্মাননা শিবির ক্যাডার ছোট সাজ্জাদের সহযোগী জাবেদের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ! কোয়েপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে বক্তারা শিক্ষার্থীরা দেশের আলোকিত ভবিষ্যতের রূপকার শার্শায় গড়ে উঠেছে পুষ্টি নিরাপত্তায় মডেল বাগান

সরকারি জমিতে রোহিঙ্গা বাজার, খাস কালেকশনের চাঁদাবাজি

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩১ বার পাঠ করা হয়েছে

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

কক্সবাজার-টেকনাফ প্রধান সড়কের দু’পাশের সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে রোহিঙ্গা বাজার।উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী মরাগাছতলা এলাকার রোহিঙ্গা বাজারটির খাস কালেকশনের নামে ভাগবাটোয়ারা করছে স্থানীয় বিএনপির কতিপয় স্বঘোষিত সমর্থক’রা।

পর্বে বালুখালী মরাগাছতলা বাজার নামে বেশ জনপ্রিয় থাকলেও এখন রোহিঙ্গা বাজার নামে সর্বত্রে পরিচিত। যার কারণ এই বাজারের অধিকাংশ দোকানদার রোহিঙ্গা নাগরিক।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,উখিয়ার বালুখালী মরাগাছতলা (পূর্বের নাম বালুখালীর ঢালা)সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা ও সরকারি ১নং খতিয়ানভূক্ত জায়গা দখল করে সেমি পাকা ও টিনের দোকান নির্মাণ করে একটি বাজারে পরিণত করা হয়েছে।

বাজারের প্রায় রোহিঙ্গা দোকানদারের সাথে কথা বলে জানা যায়, মূলত স্হানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট বাজারটি নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। আওয়ামী সরকারের আমলে বাজারটি নিয়ন্ত্রণ করতেন স্হানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

পট পরিবর্তনের পরে বাজারটি দখলে নেন বিএনপি সমর্থিত ফোরকান চৌধুরী, আনোয়ার সিকদার, আকবর আহাম্মদ, রহমত উল্লাহ ও হাজী নুরুল হক।এই ৫ জনের নেতৃত্বে তৈরি হয় একটি বিশাল বাজার নিয়ন্ত্রণ সিন্ডিকেট।

আরও জানা যায়,ফোরকান চৌধুরী ও আনোয়ার সিকদার’কে নামেমাত্র বাজারের ইজারাদার করে বাজারটি দখলে নিয়েছে আকবর আহাম্মদ, রহমত উল্লাহ ও হাজী নুরুল হক।

এদের নেতৃত্বে বাজারের প্রতিটি দোকান থেকে দৈনিক মোটা অংকের টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। বাজারটি স্হানীয়রা নিয়ন্ত্রণ করলেও প্রায় দোকানদার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

বাজারে প্রায় দুইশটির মতো বিভিন্ন আধা পাকা ঘর নির্মাণ করে ও অস্থায়ী দোকান বসানো হয়েছে। এখানকার কয়েকটি দোকানে দেশীয় পন্য বিক্রি হলেও প্রায় দোকানে বার্মিজ পন্যে সয়লাব।

বাংলাদেশ সরকারের আইন অনুযায়ী কোন নাগরিক ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান করতে গেলে একটি ট্টেড লাইসেন্স প্রয়োজন। এই লাইসেন্স উদ্যোক্তাদের আবেদনের ভিত্তিতে প্রদান করা হয়। ট্রেড লাইসেন্স শুধুমাত্র লাইসেন্সধারী ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের নামে প্রদান করা হয় যা কোনোভাবে হস্তান্তরযোগ্য নয়। প্রতিটি ব্যবসার জন্য ভিন্ন ভিন্ন লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক।লাইসেন্স বাধ্যতামূলক হলেও এই বাজারের অধিকাংশ দোকানদারের ট্রেড লাইসেন্স নেই, যাদের ট্রেড লাইসেন্স আছে তারা রোহিঙ্গাদের মোটা অংকের টাকা নিয়ে সেই লাইসেন্স ভাড়া দিয়েছে।

সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রোহিঙ্গারা কাটা তারের বাইরে আসা সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অথচ প্রতিদিন রোহিঙ্গারা কাটাতারের বাইরে এসে বালুখালী মরাগাছ তলা বাজারে দোকানদারি করে রাতে ক্যাম্পে চলে যাচ্ছে। আবার অনেক রোহিঙ্গা সড়কের পাশে বসে তেল,ডাল,চাল, সাবান ও বার্মিজ পন্য বিক্রি করছে।বাজারটি ঘিরে রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণ,এককথায় বাজারটি রোহিঙ্গা বাজার নামেও পরিচিত।

নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য মতে, বালুখালী মরাগাছতলা বাজারে যেসব রোহিঙ্গা দোকানদারি করছে তাদের মূল উদ্দেশ্য দোকানদারি নয়। তারা এখানে বসেই স্হানীয় মাদক সিন্ডিকেটের সাথে মিশে মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিদিন এই বাজারে বসেই কোটি কোটি টাকার ইয়াবা কারবারের লেনদেন হয়। পট পরিবর্তনের পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন তৎপরতা না থাকায় বাজারটি ঘিরে রোহিঙ্গা ও স্হানীয় মাদক কারবারিদের বিচরণ বেড়ে গেছে।রোহিঙ্গা মাদক কারবারিরা কোন প্রকার বাঁধা ছাড়া ক্যাম্পের বাহিরে আসাকে হুমকি সরূপ দেখছেন স্হানীয় সচেতন মহল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান,
বাজার খাস কালেকশন হলেও দৈনিক প্রতিটি দোকান থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আদায় করেন বিএনপি নেতারা। আদায়কৃত টাকার সিংহভাগ যায় বাজার নিয়ন্ত্রণকারীদের পকেটে। বাজারের অধিকাংশ দোকানদার রোহিঙ্গা,তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের সালামি নিয়ে ভাড়া দেয়া হয়েছে। আবার অনেক স্হানীয় বাসিন্দারা নিজেদের নামে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চুক্তির ভিত্তিতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের ভাড়া দিয়েছে।

এদিকে বালুখালী মরাগাছতলা এলাকায় সরকারি জায়গা দখলেরও হিড়িক পড়েছে। প্রতিনিয়ত সরকারি জমিতে নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে দোকান ও ঘরবাড়ি। স্হানীয় দখলবাজরা সরকারি জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করে রোহিঙ্গাদের মোটা অংকের টাকা নিয়ে ভাড়া দেয়। আবার অনেক দখলবাজ ঘর নির্মাণ করে রোহিঙ্গাদের বিক্রি করে দেয়।বাজারের পূর্বপাশে যেসব ঘর বাড়ি রয়েছে অধিকাংশ ঘরে রোহিঙ্গাদের বসবাস।

এবিষয়ে জানার জন্য বাজার নিয়ন্ত্রণ সিন্ডিকেটের অন্যতম আনোয়ার সিকদারের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উখিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) যারিন তাসনিম তাসিন বলেন, এবিষয়ে আমি অবগত নয়। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি