গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
জেলা মারকাজ মসজিদের ইমামকে বৃহস্পতিবার জোহরের আগেই অপসারণ দাবি করেছেন জোবায়েরপন্থী ওলামা মাশায়েকরা। গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডে আসাদুজ্জামান স্কুলের সামনে দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়। টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে গভীর রাতে সাদপন্থীদের অতর্কিত হামলায় নিহত ও আহতের ঘটনায় জোবায়েরপন্থীদের বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে জেলা প্রশাসককে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। পরে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা হেফাজতে ইসলামের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছেত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনছুর রহমান, বড় মসজিদের ইমাম মাহমুদুল হাসান কাশেমী, এমএ মজিদ, মুফতি এনামুল হাবিব, মুফতি হারুন অর রশিদ হাবিব প্রমুখ। সমাবেশের কারণে ডিবি রোডের এক পাশের লেনে দীর্ঘক্ষণ যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে ওই রোডে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
বক্তারা টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে অতর্কিত হামলায় নিহত ও আহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের উপযুক্ত বিচার, গাইবান্ধা থেকে সাদপন্থীদের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার দাবি জানান।
সাবেক এমপি কালামকে গ্রেফতারসহ বাপ-দাদার
সম্পত্তি ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ।
ফয়সাল রহমান জনি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আদিবাসী পল্লীতে হামলা, অগ্নিসংযোগ, হতাহতের ঘটনায় সাবেক এমপি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার, বাপ-দাদার সম্পত্তি ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে আদিবাসী-বাঙালিরা। স্থানীয় কাটামোড় এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি করেন বক্তারা।
সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাসকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মাস্টার, আদিবাসী-বাঙালি নেতা ব্রিটিশ সরেন, প্রিসিলা মুরমু, সুফল হেমব্রম, স্বপন শেখ, হাজী নূরুল ইসলাম, বার্নাবাস টুডু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর তৎকালীন আওয়ামীলীগের এমপি আবুল কালাম আজাদ, মহিমাগঞ্জ সুগার মিলের এমডি, জিএম তাদের সন্ত্রাসীরা স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশসহ সাঁওতালদেরকে উচ্ছেদ করতে গেলে দফায় দফায় সংঘর্ষ সাঁওতাদের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে তিন সাঁওতাল মঙ্গল মারডি, রমেশ টুডু ও শ্যামল হেমব্রম মারা যান ও অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। অগ্নিসংযোগে পুড়ে যায় সাঁওতালদের ঘরবাড়ি।
পরে জয়পুরপাড়ায় সনত্মানদের জন্য একটি বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কতিপয় চিহ্নিত বাঙালি ভূমিদস্যু বিদ্যালয়ের মাঠটি আবারও দখলে নেওয়ার জন্য পাঁয়তারা করছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম এলাকায় সাঁওতালদের পৈতৃক ১ হাজার ৮৪২.৩০ একর জমি ফেরত, সাঁওতাল পল্লীতে বসতঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, লুটপাট ও তিন সাঁওতাল হত্যায় জড়িত তৎকালীন এমপি আবুল কালাম আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুলসহ সকল আসামীর গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান। পাশাপাশি সাঁওতাল সম্প্রদায়ের এসিল্যান্ড অবিদীয় মার্ডি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন তারা।
সমাবেশের আগে আদিবাসী সাঁওতাল ও বাঙালিদের একটি বিশাল মিছিল গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়কের কাটামোড়ের ৫কি.মি এলাকার প্রদক্ষিণ করে।