1. abukowsarmithu@gmail.com : abuko wsarmithu : abuko wsarmithu
  2. admin@dainikgonotontro.com : gontadmin :
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
যুবদলের পক্ষ থেকে ২০২৫ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নড়াগাতীতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি  গণঅভ্যুত্থানে নিহত দুই শহীদ শ্রমিক পরিবারের পাশে শ্রমিক দল জমির মালিককে বাদ দিয়ে সাধারণ কৃষকের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বগুড়া’র শেরপুর সরকারি কলেজে সরস্বতী পূজা নওগাঁয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক আটক নওগাঁয় ৩০ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও গুণীজনদের সম্মাননা শিবির ক্যাডার ছোট সাজ্জাদের সহযোগী জাবেদের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ! কোয়েপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে বক্তারা শিক্ষার্থীরা দেশের আলোকিত ভবিষ্যতের রূপকার শার্শায় গড়ে উঠেছে পুষ্টি নিরাপত্তায় মডেল বাগান

বাণিজ্য মেলার প্রস্তুতি সম্পন্ন দর্শনার্থীদের ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে- বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৫৯ বার পাঠ করা হয়েছে

মোঃ আবু কাওছার মিঠু

বাণিজ্য মন্ত্রণায়লের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন বলেছেন, বাণিজ্য মেলার প্রস্তুতি সম্পন্ন। এবারের বাণিজ্য মেলার দর্শনার্থীদের ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। চতুর্থবারের মতো পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ১জানুয়ারি বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় উদ্বোধন করবেন অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মোহাম্মদ ইউনুস। মেলায় ই-টিকেটিং, সোর্সিং কর্নার, জুলাই গণঅভ্যুখানের স্মৃতির আদলে জুলাই কর্নার থাকবে। থাকবে ক্রেতা-বিক্রেতা ও দর্শনার্থীদের সকল সুযোগ সুবিধা।

গতকাল ৩১ডিসেম্বর মঙ্গলবার বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর(ইপিবি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(রপ্তানি) আবদুর রহিম খান।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, মেলার বাইরে ভাসমান কোন দোকান থাকবে না। জনদুর্ভোগ থাকবে না। মেলার ক্রেতা-বিক্রেতা ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এজন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব, গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে। পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী মেলা প্রাঙ্গণ ও প্রাঙ্গণের বাইরে নিয়মিত টহল দিবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণায়লের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন আরো বলেন, বাণিজ্য মেলার ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে বিআরটিসির ডেডিকেটেড বাস সার্ভিসের পাশাপাশি যুক্ত হচ্ছে কনসেশন। মেলায় প্রথমবারের মতো ই-টিকেটিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের সম্মানার্থে তৈরি করা হয়েছে জুলাই চত্বর ও ছত্রিশ চত্বর। দেশের তরুণ সমাজকে রপ্তানি বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধকরণার্থে তৈরি করা হয়েছে ইউথ প্যাভিলিয়ন। মেলায় সম্ভাবনাময় সেক্টর/পণ্যভিত্তিক সেমিনার আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিদেশী উদ্যোক্তা/প্রতিষ্ঠানের সুবিধার্থে থাকছে স্বতন্ত্র সোর্সিং কর্ণার, ইলেক্ট্রনিক্স ও ফার্নিচার জোন। বয়সভিত্তিক দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে প্রযুক্তি কর্ণার, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সিটিং কর্ণার। শিশুদের নির্মল চিত্তবিনোদনের জন্য মেলায় থাকছে শিশু পার্ক। পণ্য প্রসার ও বিপণনের জন্য মেলায় থাকছে উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। মহিলা, প্রতিবন্ধী, সুবিধা বঞ্চিত ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী, কুটির/তাঁত/বস্ত্র/হস্ত শিল্পের উদ্যোক্তাদের সংরক্ষিত স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া তারুণ্যের শক্তি ও উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে মাসব্যাপী মেলায় থাকছে বিভিন্ন আয়োজন।
মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩৬১টি প্যাভিলিয়ন/স্টল/রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এক্সিবিশন সেন্টারের ১লক্ষ ৬৬হাজার ৩০০শ’ বর্গফুট আয়তনের দুইটি হলে ১৭৮টি স্টল, সম্মুখভাগের উন্মুক্ত জায়গায় ৮৪টি বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়নসহ স্টল/মিনি স্টল, কফি সপসহ ৯৯ ক্যাটাগরির মিনি প্যাভিলিয়ন/প্যাভিলিয়ন/স্টল/রেস্টুরেন্ট/মিনি রেস্টুরেন্ট রয়েছে।
দেশিয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক্স এ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্সস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহ সামগ্রী, চামড়া/আর্টিফিসিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি পণ্য মেলায় প্রদর্শিত হবে।
সেন্টারের দক্ষিণ-পূর্ব পার্শ্বে জুলাই চত্বর, দক্ষিণ-পশ্চিম পার্শ্বে কালচারাল সেন্টার, টেকনোলজি কর্ণার, রিক্রিয়েশনাল কর্ণার এবং সেন্টারের উত্তর-পূর্র্ব পাশে শিশু পার্ক ও উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বে ছত্রিশ চত্বর ও নামাজ ঘর স্থাপন করা হয়েছে।
পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব, গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে। পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী মেলা প্রাঙ্গণ ও প্রাঙ্গণের বাইরে নিয়মিত টহল দিবে। সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। মেলার প্রবেশ গেইটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মেলায় সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে ফায়ার ব্রিগেড। মেলায় প্রতিদিন ৫০ জন বিএনসিসি ক্যাডেট নিয়োজিত থাকবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক টয়লেট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় শতাধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। মেলায় খাদ্য দ্রব্যের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভেজাল বিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
মেলায় ১১টি প্রতিষ্ঠানকে প্রিমিয়ার রেস্টুরেন্ট/প্রিমিয়ার মিনি রেস্টুরেন্ট/কফি সপ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৫০০আসন বিশিষ্ট একটি ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে। চিকিৎসক ও পেসেন্ট কেয়ার এটেনডেন্ট বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা ও চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান করবে। ৫ শতাধিক গাড়ি পার্কিং সুবিধা সম্বলিত দ্বিতল কার পার্কিং, বিল্ডিং ছাড়াও বিপুল সংখ্যক গাড়ির পার্কিং এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।ব্যাংকিং সার্ভিসে থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক ব্যাংক বুথ। মা ও শিশুদের জন্য মেলায় থাকবে মা ও শিশু কেন্দ্র।
মেলায় সাধারণ দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কুড়িল বিশ্বরোড, ফার্মগেট (খেজুর বাগান/খামার বাড়ী), নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী হতে প্রতিদিন সকাল ০৮:০০ টা থেকে বাণিজ্য মেলার উদ্দেশ্যে বিআরটিসির ২০০টির বেশি ডেডিকেটেড শাটল বাস চলাচল করবে। মেলা প্রাঙ্গণ থেকে সর্বশেষ রাত ১১টায় শাটল বাস ছাড়বে। ফার্মগেট থেকে মেলা প্রাঙ্গণ ভাড়া ৭০টাকা। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ ভাড়া ৩৫টাকা।

নারায়ণগঞ্জ থেকে মেলা প্রাঙ্গণ ভাড়া ১২০টাকা। নরসিংদী থেকে মেলা প্রাঙ্গণ ভাড়া ৯০টাকা। মেলা প্রাঙ্গণ থেকে গুলিস্থান ভাড়া ৮০টাকা। গুলিস্থান থেকে নারায়ণগঞ্জ ভাড়া ৪৫টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মেলায় প্রাপ্ত বয়স্কদের জন প্রতি প্রবেশ টিকিটের মূল্য ৫০টাকা। ১২ বছর বয়সের নিচে শিশুদের প্রবেশ টিকিটের মূল্য ২৫টাকা। মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধিরা কার্ড প্রদর্শনে বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন।
ভারত, পাকিস্থান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়ার ১১টি প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করছে। গত বছরের মেলায় ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাঁচ দেশের ৯টি বিদেশি প্যাভিলিয়ন/স্টল ছিল।
দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বানিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল হতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজন করা হচ্ছে।
অন্য বছরের ন্যায় এবারো সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে।

তাং-৩১-১২-২০২৪ইং

(নারায়ণগঞ্জ):

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি