1. abukowsarmithu@gmail.com : abuko wsarmithu : abuko wsarmithu
  2. admin@dainikgonotontro.com : gontadmin :
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সিদ্ধিরগঞ্জে জমি জবর দখল করতে বেকু দিয়ে নির্মাণাধীন দোকান ভাংচুরের অভিযোগ জাইতুন সাহাজউদ্দিন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২৭০তম জন্মবার্ষিকী উৎযাপন বৈষম্যবিরোধী ছাএ আন্দোলনে আহত এবং প্রতিহিংসা মূলক সম্পওি আত্মসাৎতের জন্য হত্যা চেষ্টা করা হয় সাংবাদিক মাহাবুব হাওলাদার কে ————– রূপগঞ্জে যুব মহিলালীগ নেত্রী গ্রেফতার বন্ধ জুট মিল খুলে দেওয়ার দাবিতে সীতাকুণ্ডে মানববন্ধন নড়াইলে ব্যবসায়ীদের সাংবাদিক সম্মেলন ও মানবন্ধন বালুয়ায় ছাত্র-জনতার মুহুর্মুহু স্লোগান ‘রংপুরে নয়, গাইবান্ধায় চাই চীনের মৈত্রী হাসপাতাল শার্শা উপজেলায় ফেনসিডিলসহ যুবক আটক দফের আবিষ্কার ও প্রচলন ইতিহাস রাজশাহীতে তীব্র গরমে পথচারীর পাশে খাবার পানিও স্যালাইন বিতরণ

সিদ্ধিরগঞ্জে দুই শিশু সন্তানকে পূঁজি করে বহুরূপী মুক্তার অর্থ হাসিলের পায়তারা

  • প্রকাশিত : সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৯ বার পাঠ করা হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শিশু দুই সন্তানকে ঢাল হিসেবে পূজি করে বহুরূপী পুরুষ খেকু ও মামলাবাজ মুক্তা আক্তার নামে এক নারীর বিরুদ্ধে তার দ্বিতীয় স্বামীর কাছ থেকে অনৈতিক ভাবে অর্থ হাসিলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিপূর্বে নগদ অর্থসহ জমি-বাড়ি লিখে নিয়েও ক্ষান্ত হননি এই লোভী নারী মুক্তা। পুনরায় মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিতে নতুন করে পায়তারা করছে বলে জানা গেছে।
তার এহেন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারী) ওই নারীর স্বামী আবুল কালাম আজাদ তাকে আইনী নিয়ম মেনে ডিভোর্স দিয়েছেন। ভুক্তভোগী আবুল কালাম আজাদ সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতান পাড়া এলাকার মো: রওশন আলীর ছেলে।
অভিযুক্ত মুক্তা আক্তার রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানার দুদুখান পাড়া এলাকার মো: একন খাঁর মেয়ে। বর্তমানে মুক্তার পরিবার ফরিদপুর জেলার সদর থানার মান্দার মোল্লা পাড়া এলাকার ইদ্রিস পালের বাড়িতে বসবাস করছে।
ভুক্তভোগী আবুল কালাম আজাদ রাসেল জানায়, ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারী প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে মুক্তা আক্তারের সাথে ইসলামী শরা-শরীয়তের বিধান মোতাবেক রেজিষ্ট্রি কাবিন মূলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। মুক্তা আক্তার একজন বিবাহিত নারী এবং তার প্রথম সংসারের একজন পুত্র সন্তান থাকা স্বত্ত্বেও বিবাহ বন্ধনের পর ওই পুত্র সন্তানসহ সুখ-শান্তিতে দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করে আসছিলাম। দাম্পত্য সংসার জীবনে আমার ঔরসে মুক্তার গর্ভে মো: আল আরাফ রাব্বি (৪) এবং মো: আফরাহিম ইসলাম (১ মাস ২০ দিন) নামে দুইজন ফুটফুটে পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তাকে তার পূর্বের সংসারের সন্তানসহ ভরনপোষন ও চিকিৎসাসহ যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করে এসেছি। এছাড়াও মুক্তাকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং সুখ-শান্তির জন্য স্থায়ী আবাস স্থল হিসেবে আমার নিজ অর্থায়নে ফরিদপুর জেলার সদর থানার মান্দার মোল্লা পাড়া এলাকায় ৮ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করে সেখানে দুইটি বিল্ডিং রুম নির্মাণ করে টিউবওয়েল বসাইয়া বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে বসবাসের উপযোগী করিয়া দিয়াছি। আমি স্বামী ও পিতা হিসেবে সকল প্রকার দায়-দায়িত্ব পালন করা সত্ত্বেও মুক্তা আমার অনুমতি ছাড়া বেপরোয়া চলাফেরা করতো এবং কোন কারণ ছাড়াই আমার সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হত। প্রায়ই আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত এবং আমাকে ব্লাকমেইল করে বিপুর পরিমান টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। সে প্রায়ই আমার সাথে সংসার করতে অনীহা প্রকাশ করে সর্ব সাধারণের সামনে একাধিকবার মৌখিকভাবে আমাকে তালাক দিয়েছে। আমার এবং আমার সন্তানদের প্রতি যত্নবান না হয়ে উল্টো তার কর্মকান্ডে আমার জীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে।
আবুল কালাম আজাদ আরো জানায়, আমি বহুবার তাকে বুঝানোর সত্ত্বেও কোনরূপ সংশোধন না হয়ে নেশার জগতে প্রবেশ করে বেপরোয়া চলাফেরা করতে থাকে এবং বিভিন্ন লোকের কুপরামর্শে আমার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে ২টি যৌতুক মামলা এবং ফরিদপুর আদালতে ১টি যৌতুক মামলা ও ২টি নারী শিশু মামলা করেন। তারপরেও আমার শিশু সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সংসার চালিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু গত ১৫ জানুয়ারী বেলা ১২টার দিকে আমার ১ মাস ২০ দিন বয়সী দুধের শিশু সন্তান আফরাহাম ইসলামকে আমার কাছে রেখে মুক্তা তার আগের সংসারের ছেলেকে মাদ্রাসা থেকে আনার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যান এবং দীর্ঘক্ষণ অতিবাহিত হলেও বাসায় ফিরে না আসায় তার মোবাইলে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তার সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় ১৮ তারিখ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি জিডি করি। আমি জিডি করার ৫ দিন পর ২০ জানুয়ারী সে থানায় হাজির হয়ে আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করলে থানা পুলিশ আমার বাড়িতে এসে আমার শিশু সন্তানের বাস্তবিক অবস্থা দেখে আমাকে থানায় যেতে বলে। পরে আমি আমার মা ও বোনকে সাথে নিয়ে থানায় গিয়ে মুক্তাকে গালমন্দ করি এবং পুলিশের উপস্থিতিতে মুচলেখা রেখে আমার শিশু সন্তানকে তার কাছে বুঝিয়ে দেই এবং বাচ্চাদের ভরন-পোষনের জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা, কাপড়-চোপড় এবং খাবার কিনে দেই। তথাপিও মুক্তা সর্বসাধারণ এবং পুলিশের উপস্থিতিতে থানা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় আমার ও আমার পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মামলা-মোকদ্দার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে চলে যায়। তার এহেন কর্মকান্ড বিবেচনা করে তার সাথে সংসার করা সম্ভব নয় বিধায় গত ২১ জানুয়ারী কাজী অফিসে তালাক রেজিষ্ট্রি করে তার সাথে বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করিয়াছি। আমার দুই শিশু সন্তানের ব্যাপারে আদালতের মাধ্যমে যে সিদ্ধান্ত হয় তা আমি পালন করতে বদ্ধ পরিকর।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি