1. abukowsarmithu@gmail.com : abuko wsarmithu : abuko wsarmithu
  2. admin@dainikgonotontro.com : gontadmin :
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বৈষম্যবিরোধী ছাএ আন্দোলনে আহত এবং প্রতিহিংসা মূলক সম্পওি আত্মসাৎতের জন্য হত্যা চেষ্টা করা হয় সাংবাদিক মাহাবুব হাওলাদার কে ————– রূপগঞ্জে যুব মহিলালীগ নেত্রী গ্রেফতার বন্ধ জুট মিল খুলে দেওয়ার দাবিতে সীতাকুণ্ডে মানববন্ধন নড়াইলে ব্যবসায়ীদের সাংবাদিক সম্মেলন ও মানবন্ধন বালুয়ায় ছাত্র-জনতার মুহুর্মুহু স্লোগান ‘রংপুরে নয়, গাইবান্ধায় চাই চীনের মৈত্রী হাসপাতাল শার্শা উপজেলায় ফেনসিডিলসহ যুবক আটক দফের আবিষ্কার ও প্রচলন ইতিহাস রাজশাহীতে তীব্র গরমে পথচারীর পাশে খাবার পানিও স্যালাইন বিতরণ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি ডিপ্লোমা কোর্সকে স্নাতক সমমানের দাবীতে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি ডিপ্লোমা কোর্সকে স্নাতক সমমানের দাবীতে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন

নাব্যতা হারানো নদীকেঘিরে সংকটে মৎস্য খাত ও কৃষি

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৬ বার পাঠ করা হয়েছে

আরিফুল ইসলাম মুরাদ নেএকোনা জেলা প্রতিনিধিঃ

 

সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার খরমা, মনাই, সুমেশ্বরী ও গুলাই নদী দীর্ঘদিন ধরে পানি সংকটে ভুগছে। নদীগুলোর নাব্যতা হারিয়ে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে একাধিক সমস্যা—ব্যাহত হচ্ছে কৃষি উৎপাদন, হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য ও নদীকেন্দ্রিক অর্থনীতি।

 

নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় তীব্র সেচসংকট তৈরি হয়েছে। ফলে কৃষকরা ফসল উৎপাদনে ব্যর্থ হচ্ছেন, অনেক জমিই অনাবাদী পড়ে রয়েছে। নদীতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় মাছের প্রজননও কমে গেছে, যার প্রভাব পড়েছে স্থানীয় জেলেদের জীবিকায়। অনেকে বাধ্য হয়ে অন্য পেশার দিকে ঝুঁকছেন।

 

স্থানীয়রা জানান, নৌযান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে, যা যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহনে সমস্যা সৃষ্টি করছে। শুকনো নদীর তলদেশে গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা ও চাষাবাদ, যা ভবিষ্যতে নদী পুনরুদ্ধারে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। একই সঙ্গে নদীতে বর্জ্য ফেলার কারণে বাড়ছে দূষণ।

 

এ প্রসঙ্গে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, “নদীগুলো যেহেতু জনস্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই ইউনিয়ন পর্যায় থেকে সমস্যা তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন আমাদের কাছে পাঠালে, আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নদী খননের জন্য অনুরোধ জানাবো।” তিনি আরও বলেন, “যথাযথভাবে নদী খনন সম্ভব হলে বাঁধ নির্মাণে কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।”

ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনি রায় বলেন, “এই অঞ্চলের নদীগুলো পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে। জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে। অনেক মাছ ইতোমধ্যে বিলুপ্তির পথে।”

স্থানীয় সচেতন মহল দাবি তুলেছে—নদী খনন ও ড্রেজিং করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব নদী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।

নদী পুনরুজ্জীবনের কার্যকর উদ্যোগ না নিলে সুনামগঞ্জের পরিবেশ, অর্থনীতি ও সমাজব্যবস্থা আরও গভীর সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি