সাদেকুল ইসলাম,
বিরল(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বিরলে ২৭ (এপ্রিল) রোববার রাতে উপজেলার ৩ নং ধামইড় ইউনিয়নের ঢেরাপাটিয়া বাজার সংলগ্ন আসহাবুস সুফফা বালিকা মাদ্রাসা ও নুরানী একাডেমীতে থেকে ভিকটিম (১৭) উদ্ধারসহ অভিযুক্ত ওই শিক্ষক কে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৫), ১১নং পলাশবাড়ী ইউনিয়নের (বাগডাঙ্গা) গ্রামের মৃত- মোজাহারুল হক এ ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম (১৭) বিরল থানাধীন ৩নং ধামইর ইউনিয়নের চেড়াপাটিয়া বাজারে আসহাবুস সুফফা বালিকা মাদ্রাসা ও নুরানী একাডেমীতে আমার মেয়ে শিক্ষিকা হিসাবে চাকুরী করা সহ উক্ত মাদ্রাসার আবাসিক রুমে অন্যান্য ছাত্রীদের সাথে বসবাস করে আসছিলেন আসামী আবু বক্কর সিদ্দিক তাহার স্ত্রী সহ উক্ত মাদ্রার পশ্চিম ভিটার পূর্ব দুয়ারী বিল্ডিং, ঘরে বসবাস করে। গত ২৬ এপ্রিল (শনিবার) সকাল অনুমানিক ০৬.০০ঘটিকার সময় আসামীর স্ত্রী বিবাহের দাওয়াত খাওয়ার জন্য মাদ্রাসার বাহিরে যায়। এরই সুযোগে বিকাল আনুমানিক ০৪.০০ ঘটিকায় সময় আমার মেয়ে ভিকটিম (১৭) মাদ্রাসায় ছাত্রীদের পাঠদান শেষে উক্ত মাদ্রাসার পশ্চিম ভিটার পূর্ব দুয়ারী বিল্ডিং ঘরে শুয়ে থাকা অবস্থায় আসামীর স্ত্রী মাদ্রাসায় না থাকার সুযোগে ঘরে প্রবেশ করে আমার মেয়েকে ডেকে তার পশ্চিম ভিটার পূর্ব দুয়ারী বিল্ডিং ঘরে (আসামীর শয়ন ঘরে) নিয়ে যায়। তারপর আসামী আমার মেয়ে ভিকটিম(১৭) কে আইসক্রিম খাইতে বলেন। আইসক্রিম খাইতে রাজী না হইলে আসামী জোর পূর্বক তার মুখে থাকা নেকাপ টেনে উপরে তুলে জোর পূর্বক আইসক্রিম খাওয়াইয়া দেয়। আইসক্রিম খাওয়ার পর ভিকটিমের মাথা ঘুরাইতে থাকে। তখন আসামী আবু বক্কর সিদ্দিক আমার মেয়ের মুখ ওড়না দিয়ে বেধে পড়নে থাকা শালোয়ার ও জামা টানা হেঁচড়া করিয়া খুলিয়া বিবস্ত্র করিয়া ফ্লোরে চিৎকরে শোয়াইয়া আমার মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর। পূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে আসামী ঘটনার বিষয়ে কাউকে বলতে নিষেধ করিয়া ভিকটিম(১৭) সহ অন্যান্য আবাসিক ছাত্রীদেরকে মাদ্রাসার ভিতরে রেখে বাহির হইতে তালাবদ্ধ করিয়া চলিয়া যায়। যাহার ফলে কেহই বাহিরে বাহির হইতে পারে নাই এবং ভিতরে কোন মোবাইল ফোন না থাকায় আমাকে সংবাদ দিতে পারেন নাই।
গত ২৭/০৪/২০২০৫, আনুমানিক বিকাল ০৩:০০ ঘটিকার দিকে আমার মেয়ে ভিকটিম(১৭) অনাবাসিক ছাত্র মোঃ নাজাত (১৪) কে ঘটনার বিষয়ে গোপনে ঘটনার কথা উক্ত ছাত্রের মা নাজমা বেগমকে উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানাইতে বলে। অনাবাসিক ছাত্র নাজাত বাড়ীতে গিয়ে তাহার মা মোছাঃ নাজমা বেগম কে জানালে তিনি মোবাইল ফোনে আমাকে বিস্তারিত ঘটনা জানায়। খবর পেয়ে আমি (ভিকটিম এর মা) সঙ্গে সঙ্গে নাজমা বেগম (৩০) কে সাথে নিয়ে উক্ত মাদ্রাসায় গিয়ে আমার মেয়ে ভিকটিম (১৭) কে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি অবগত করলে স্থানীয় লোকজন আসামী আবু বক্কর সিদ্দিককে আটক করিয়া থানায় সংবাদ দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক আসামীকে গ্রেফতার করিয়া থানায় নিয়ে আসেন।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা রুমানা আকতার বাদী হয় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন-২০০৩) আইনের ৯ (১) ধারায় বিরল থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেছি।
এ ব্যাপারে বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস ছবুর জানায, ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করেছেন, ভিকটিম উদ্ধারসহ আসামীকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply