শান্ত মিয়া
‎জাজিরা শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি
‎
‎শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল ফরাজির আপন ছোটভাই সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মাঈনুল ফরাজির বিরুদ্ধে বিএনপির এক কর্মীর দোকান ভাড়া নিয়ে একটি ক্লাব করে বিদ্যুৎ বিল ও ভাড়া না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মাঈনুল ফরাজি বাংলাদেশ ছাত্রদলের সাবেক সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক।
‎
‎পালেরচর ইউনিয়ন জাসাসের প্রস্তাবিত সভাপতি আবু তাহের নিজেকে বিএনপির একজন একনিষ্ঠ কর্মী দাবি করে মাঈনুল ফরাজির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, মাঈনুল ফরাজি আমাদের একটি দোকান ভাড়া নিয়ে তার নিজস্ব একটি ক্লাব করলেও ছিলোনা তেমন কোন কার্যক্রম ও সহযোগিতা। দলীয় কার্যক্রমহীনতা ও চরম অসহযোগিতার ফলে, এক পর্যায়ে আমি হতাশ হয়ে যাই। তাই শুরুতে আমি উক্ত ক্লাবটির দেখাশোনা করলেও এক সময় ক্লাব টি ছেড়ে দেই।
‎
‎পরে নিয়মিত রাজনীতি করা স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয় হয়ে যাই। তবে, মাঈনুল ফরাজি কয়েক মাস ধরেই আমাদের দোকানের ভাড়া পরিশোধ করছেন না এমনকি আমাদের ফোনকলও রিসিভ করছেন না তিনি। তাছাড়া দোকানের বিদ্যুৎ বিল না দেয়ায় বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। তার এসব কর্মকাণ্ডে আমি বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে অত্যন্ত লজ্জিত হচ্ছি।
‎
‎সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মিটার থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া তালাবদ্ধ দোকান ঘরটিতে লোকজনের আনাগোনার তেমন চিহ্ন নেই। ভিতরে সাবেক ছাত্রদল নেতা মাঈনুল ফরাজির ছবি দিয়ে বিএনপির নামে বড়ো-বড়ো ব্যানার লাগানো। ভিতরে থাকা চেয়ার-টেবিলে জমে গিয়েছে ধুলা-বালির স্তুপ। দেখে যে কারোরই মনে হবে যেনো পরিত্যক্ত একটি অফিস রুম। স্থানীয়দের কেউ আবার চেয়ার-টেবিল কিনার জন্য টাকা নেয়ারও অভিযোগ তোলেন সাবেক এই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে।
‎
‎বিষয়টি সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রদল নেতা মাঈনুল ফরাজির মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ওঠার পর থেকেই তিনি ভুক্তভোগীদের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করে বকেয়া পরিশোধ করার চেষ্টা করে চলেছেন বলে জানা যায়।
‎
‎এই বিষয়ে জাজিরা উপজেলা শাখা বিএনপির নব-নির্বাচিত সভাপতি বজলুর রশিদ শিকদার জানান, মাঈনুল ফরাজি যেহেতু পালেরচরের বাসিন্দা তাই ক্লাবটি তিনি ব্যাক্তিগতভাবে করে থাকতে পারেন। আমরা এই বিষয়ে অবগত নই এবং এর কোন দায়-দায়িত্ব জাজিরা উপজেলা বিএনপি নিবে না। তাছাড়া কেউ অভিযোগ দিলে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে বলেও তিনি জানান।