বজলুর রহমান:
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে ঢাকা ওয়াসার সাবেক মিটার রিডার বর্তমানে রাজস্ব পরিদর্শক জোন-৩ (লালমাটিয়া পানির ট্যাংকী ২য় তলার) কর্মরত মোঃ হারুন অর রশীদ অবৈধ ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত উপায় শত শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে গেছেন বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও অনুসন্ধানে উঠে আসা তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে রাজস্ব কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ নগদ ও সম্পদ মিলে ৪ থেকে ৫ শত কোটি টাকার মালিক। মোঃ হারুন উর রশীদ এর পিতার নাম রোছমত আলী। তার গ্রামের বাড়ী বিল মাখল, থানাঃ পাগলা, জেলাঃ ময়মনসিংহ। দৈনিক আজকের বাংলা হাতে আসা তথ্য থেকে জানা যায়, বিল মাখলা গ্রামের বাড়ীতে বিলাশ বহুল ২য় তলা বাড়ী নির্মান করেছেন। যার নির্মান ব্যয় ১কোটি ২০ বিশ লক্ষ টাকা। ঢাকা টিক্কা পাড়া ৭/ এ/১৫/-এ একটি চারতলা বাড়ী, যার নির্মান ব্যায় ৪ কোটি টাকা, ঢাকা কৃষি মার্কেটের পেছনে ঢাকা উদ্যানের ৩ নং রোডে ৩৯ নং বাড়ী, জমি ক্রয় ও বাড়ী সহ ৬ কোটি টাকা, ঢাকার নুরজাহান রোডে ব্লক এম রোড-৮-এ একটি বাড়ী ক্রয় করেছে ৫ কোটি টাকায়। ঢাকা মোহাম্মদপুর চান মিঞা হাউজিং এ রোড নং-২, রয়েছে একটি বাড়ি ক্রয় করেছেন ৮ কোটি টাকায়।
শ্রীপুর থানাধীন মাওনা পিআর আলী কলেজ সংলগ্ন একটি টিন সেড বাড়ী ক্রয় , যার দাম ৭০ লাখ টাকা, শ্রী পুর থানাধীন মাওনা হাসপাতাল রোড সংলগ্ন একটি টিন সেড বাড়ী, যার মূল্য ৫০ লাখ টাকা, শ্রীপুর থানাধীন মাওনা প্রশিক্ষার মোড় সংলগ্ন ২টি টিন সেড বাড়ী জমি ক্রয় সহ ১ কোটি টাকা। ভালুকা থানাধীন স্কয়ার মাষ্টার বাড়ী ও জমিদার বাড়ী এলাকায় ২টি টিনসেড বাড়ী যার মূল্য ১ কোটি টাকা,ভালুকা থানাধীন কামার মৌজায় ৯ বিঘা জমি ক্রয় করেছেন, যার মূল্য ১০ কোটি টাকা। ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানাধীন গয়েশপুর বাজারে রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে মার্কেট নির্মান করে ২০টি দোকান করে ভাড়া দিয়েছেন যার নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ১ কোটি টাকা, পাগলা থানাধীন গয়েশপুর বাজারে ১টি বাড়ী যার নির্মান ব্যয় ১ কোটি টাকা। পাগলা থানাধীন পাইখল মৌজায় এক একর জমির উপর মুরগীর খামার ব্যয় ১ কোটি টাকা। গফরগাঁও উপজেলায় শিলাগী মৌজায় ৬ বিঘা জমি, যার মূল্য ৬০ লাখ টাকা, রাজধানী মগবাজারাস্থ ৬ তলা একটি বাড়ী, যার মূল্য ৮ কোটি টাকা, নিজ গ্রাম বিল মাখন মৌজায় হারুন মার্কেট এ ৮ টি দোকান জমি সহ ব্যয় ১ কোটি টাকা। জমি ক্রয়ের বিবরণ: বিল মাখল মৌজায় লুৎফর ঢালী, বারেক ঢালী, তোফাজ্জল ঢালী ও কামাল এর নিকট থেকে ১ একর জমি যাহার মূল্য ৫ লাখ টাকা। ইব্রাহিম খান এর নিকট থেকে ৪ একর যার মূল্য ২ লাখ টাকা, শুক্কুর মাহমুদ এর নিকট থেকে ১ একর যার মূল্য ৫ লাখ টাকা, আঃ রশিদ ও ইসমাইল এর নিকট থেকে ২ একর, যার মুল্য ২ লাখ টাকা, রগুবাড়ীর আঃ মোতালেব, আঃ কাশেম, হাফিজ উদ্দিন এর নিকট থেকে ১.৫ একর যার মূল্য ৯ লাখ টাকা, মোঃ আঃ রহমান, আলাউদ্দিন, মর্শিদ, হেলাল উদ্দিন এর নিকট থেকে ১ একর যার মূল্য ৬ লাখ টাকা, কাজিম উদ্দিন, কালিম উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন এর নিকট থেকে ২ একর, যার মূল্য ১০ লাখ টাকা, আঃ হেকিম, আঃ বাতেন, ফারুক মিয়া ও হাতেম আলীর নিকট থেকে ২ একর, যার মূল্য ৮ লাখ,বড়ইবাড়ির রুস্তম আলী ও আঃ কালাম এর নিকট থেকে ৪ কাঠা, যার মূল্য ৩ লাখ টাকা ও গুজাবাড়ির আবুল কালাম ও হাফেজ এর নিকট থেকে ৬ কাঠা জমি যার মূল্য ২ লাখ টাকা, ছফির উদ্দিন ও নূরুল ইসলাম এর নিকট থেকে ১০ কাঠা যার মূল্য ৫ লাখ টাকা, উমর আলী ও আঃ বারেক এর নিকট থেকে ৫ কাঠা যার মূল্য ৫০ হাজার টাকা, মরহুম আবু তাহের এর স্ত্রী পুত্র মেয়ের নিকট থেকে বাড়ি ভিটা সহ কবরস্থান প্রতারণা করে সামান্য টাকা দিয়ে ভিটা বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছে। নুরুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন, সামছুদ্দিনদেরকে বিভিন্ন ভয় দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ভিটা বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করার অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে সব কিছুর তথ্য সঠিক ভাবে পাওয়া যাবে বলে অভিযোগকারীরা জানালে দৈনিক সকালের সময় প্রতিবেদক সরোজমিনে গিয়ে এর সত্যতা খুঁজে পান। এছাড়াও গাজীপুর থানা এলাকার শ্রীপুর এবং ভালুকাতে অনেক জমি আছে জানান স্থানীয়রা । তার স্ত্রীর স্বর্ণ অলংকার হিসাববিহীন। মোঃ হারুন অর রশীদের নিজ ব্যবহারিত গাড়ী নং-ঢাকা মেট্রো-গ-১৭-৪৭৬৩ গাড়ী ব্যবহার করেন তিনি। জানা যায় তার নিজ নামে স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের নামে পোষ্ট অফিসসহ বিভিন্ন ব্যাংকে বহু টাকা ডিপোজিট, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পতনের পর ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেছে বলেও জানা গেছে। এ বিষয় ঢাকা ওয়াসার সাবেক মিটার রিডার বর্তমানে রাজস্ব পরিদর্শক জোন-৩ মোঃ হারুন অর রশিদ দুর্নীতি দমন দুদকের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান,
আমি এরকম আরো ১৫ বছর আগে থেকে সাংবাদিকদের বক্তব্য দিয়ে আসছি কোন অসুবিধা নেই, আপনি আমার হোয়াটসঅ্যাপে আপনার ভিজিটিং কার্ড এবং আমার অভিযোগ পাঠান আমি পরবর্তীতে আপনার সাথে সাক্ষাৎ করব।পরবর্তী তিনি সংবাদ প্রচার হলে প্রতিবেদককে মামলার ভয় ভীতি দেখান।
Leave a Reply