মোঃ আরিফুল ইসলাম মুরাদ
জেলা সদর হাসপাতালের সামনে ছিনতাইকারী, পকেটমার ও দালাল কর্তৃক হয়রানি হচ্ছে রোগীর সাথে আশা স্বজন ও দর্শনার্থীরা।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে,গত ১২ই জানুয়ারি সকাল ১০টা হতে ১১টার মধ্যে কলমাকান্দা উপজেলার একজন মহিলার হাতের ব্যাগ নিয়ে যায় ছিনতাইকারী।
সংবাদ পেয়ে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করলে ভোক্তভোগী মহিলাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
হাসপাতালের গেইটে কোন প্রকার সিকিউরিটি না থাকায় এরকম পরিস্থিতির স্বীকার হচ্ছে রোগী ও রোগীর সাথে আসা স্বজনরা।
হাসপাতালের কর্তব্যরত একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায় যে, বিগত কিছুদিন পূর্বে সরকারী ঔষধ প্রদানকালে জন সাধারণ কাউন্টারের সামনে সিরিয়াল নেয়া অবস্থায় ছিনতাই করতে আসা দুই মহিলাকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। জিজ্ঞাসা বাদে সদর মডেল থানার পুলিশ জানতে পারে যে, ছিনতাইকারী মহিলারা ১৮জনের একটি দল কুষ্টিয়া থেকে জেলা শহর নেত্রকোনার ঢাকা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলা রুজু করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
হাসপাতালের সামনে একাধিক দোকানদারকে প্রশ্ন করলে তারা বলেন, সদর হাসপাতালে গেইটে দুই একটা ভাসমান চায়ের দোকানে বসে অনেক সময় ছিনতাইকারীরা গ্ৰামের সহজ সরল লোকদের কে টার্গেট করে।
এব্যাপারে দ্রুত সিকিউরিটি আরো জোরদার করার প্রয়োজন বলে মনে করেন হাসপাতাল এলাকা ও আশেপাশের লোকজন।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এ,এস, আই মোফাজ্জল হোসেন বলেন, টিকিট কাউন্টারে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে অনেক সময় অপরিচিত মহিলারা রোগী সেজে পকেট মারে ও ছিনতাই করে ,আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আবু সাঈদ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমি কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি ।ভবিষ্যতে আর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন না ঘটে তার জন্য বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
Leave a Reply