1. abukowsarmithu@gmail.com : abuko wsarmithu : abuko wsarmithu
  2. admin@dainikgonotontro.com : gontadmin :
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৭:৩০ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
Welcome To Our Website...www.dainikgonotontro.com .....সারা দেশব্যাপী সংবাদ কর্মী নিয়োগ চলছে...
শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঈদ পূর্ণমিলনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কালকিনিতে রাস্তা উন্নয়নে এক পরিবার ফাউন্ডেশনের গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ বগুড়া শাজাহানপুরে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট । রূপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক ট্রেনের যাত্রী কে মেরে নাক ফাটিয়ে দেয়ার কারনে ষ্টেশন মাষ্টার কে বেধরক পেটালো যাত্রী, ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে নানা অপচেষ্টা মঈনউদ্দীন মহসিনের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের গভীর শোক প্রকাশ দিনাজপুরে ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেসের ছাদ থেকে মাটিতে পরে ২ যাত্রী আহত শার্শায় বিএনপি কর্মী লিটন হত্যা মামলার চার আসামি ঢাকা থেকে আটক শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ১৩৫তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে দক্ষিণ মাদার্শা সেবাশ্রমে তিনদিনব্যাপী মহোৎসব অবৈধভাবে পাচারকালে ৬ জন আটক

আধুনিক পদ্ধতিতে এসে অজানা সাউন্ড থেরাপি

  • প্রকাশিত : সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৫২ বার পাঠ করা হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট —

শব্দ দ্বারা রোগ নিরাময়ের চেষ্টা আসলে একটি কারিগরি চিকিৎসা পদ্ধতি যা বৈজ্ঞানিক ভাবেই স্বীকৃত। উন্নত হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। একই সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রার মানও পরিবর্তিত হচ্ছে। ক্রমাগত বাড়ছে উদ্বেগ, মানসিক চাপের মতো সমস্যা। ফলে আরো জটিল অসুখের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। আরেক দিকে সচেতন মানুষের চাওয়া প্রাগাধুনিক সমাধান।যাতে ওষুধ ছাড়াই শারীরিক ও মানসিক সমস্যার নিরাময় করা যায়।রোগ নিরাময়ের অনেক কৌশল আমরা দেখি যা মেডিসিন নির্ভর চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে আলাদা।তেমনই একটি পদ্ধতি হচ্ছে ‘সাউন্ড থেরাপি’।বহু শতাব্দী প্রাচীন এই চিকিৎসা পদ্ধতি!

প্রাচীন পদ্ধতি অনুসারে শব্দ সৃষ্টির মাধ্যমে রোগ নিরাময়ের চেষ্টা করা হতো। বর্তমান আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে এসে এই পদ্ধতি আমাদের অজানা। এটি শরীরের নানা ভাবে উপকার করে।কোনও ব্যক্তির যদি মাথাব্যথা, মানসিক অসুস্থতা,স্ট্রেস থাকে, তাহলে সাউন্ড থেরাপি তাঁকে বেশ অনেকটা সাহায্য করতে পারে যা প্রাচীন যুগ থেকেই পরীক্ষিত!

আসুন জানা যাক বিশেষজ্ঞদের কথা—
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শব্দে রয়েছে রোগ সারানোর ক্ষমতা। ‘উপায়’ শব্দ নাকি ব্রহ্মাস্ত্রর থেকেও বেশি শক্তিশালী!অবিশ্বাস্য ও অসীম তার ক্ষমতা।তাই বুঝে- জেনে-শুনেই ব্যবহার করতে হয়।এই শব্দের ব্যবহারেই রোগ নিরাময় করা সম্ভব।বিশেষজ্ঞদের মতে, শব্দের প্রভাব মনে পড়ে।কারণ, মন শান্ত এবং অশান্ত করার ক্ষমতা রয়েছে শব্দের মধ্যে।মনের প্রভাব শরীরেও ভীষণভাবে নাড়া দেয়।ফলে শব্দের মাধ্যমে শরীরের নানা সমস্যা ঠিক করা সম্ভব বলেই বিশেষজ্ঞরা একমত।এর কয়েকটি উপায়ও তাঁরা জানিয়েছেন যা নিম্নে তুলে ধরা হলো।

ভ্রমরী প্রাণায়াম (Bhramari Pranayama): মনকে একাগ্র করে ধ্যানের পর্যায়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে এই প্রাণায়ম। শব্দের কম্পনে মন ও স্নায়ু শান্ত হয়।এর জন্য প্রথমে সোজা হয়ে বসবেন।নিজের চোখ দু’টি বন্ধ করে তাতে আলতো করে হাতের আঙুল রাখবেন।নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে ছাড়ার সময় ভ্রমর অর্থাৎ মৌমাছির মতো শব্দ করবেন।এতে মন শান্ত রাখার পাশাপাশি শরীরও তরতাজা করে তোলা যায়।

মন্ত্রোচ্চারণ (Chanting): মন্ত্রের আলাদা মহাত্ম্য রয়েছে। এর নির্দিষ্ট ছন্দ ও শব্দ রয়েছে। যার প্রভাব সরাসরি শরীরে পড়ে এবং শান্তির অনুভূতি দেয়।অনেকেই ‘ওঁ’ শব্দের উচ্চারণের মাধ্যমে ধ্যান করেন। তবে যে যার মতো বিশ্বাস অনুযায়ী কিংবা পছন্দ মতো শব্দ বেছে নিতে পারেন।এতে শরীরের যাবতীয় নেগেটিভ এনার্জি দূর হয় এবং নতুন করে শক্তির সঞ্চার হয়।

টোনিং সাউন্ডস (Toning Sounds): শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের রোগ নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন রকমের শব্দ রয়েছে। যেমন কানের জন্য ‘Nnn’ উচ্চারণ ভাল। চোখের ক্ষেত্রে ‘Eemm’ শব্দের প্রয়োগ করতে পারেন। সাইনাসের সমস্যায় ‘Mmm’ শব্দ উচ্চারণ করবেন।নাকের জন্য ‘Llmm’ শব্দটি উচ্চারণ করতে বলা হয়।আর ফুসফুসের জন্য ‘Ssss’ শব্দের উচ্চারণ বেশ ভাল।

তাছাড়াও ধাতুর পাত্র (Singing bowl) এর শব্দও অনেক ক্ষেত্রে মনকে আরাম দেয়।এমন পদ্ধতি বর্তমান উন্নত বিশ্বে বিভিন্ন স্কুল,কলেজ,হোটেল,স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, বিনোদন কেন্দ্র,ক্লাব,থেরাপি সেন্টার,মেডিটেশন সেন্টার,স্পা বা ম্যাসাজ সেন্টার,মাদক নিরাময় কেন্দ্র,শিশু ও বৃদ্ধাশ্রম,শিশু-কিশোর সংশোধনাগার, জেলখানা, মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্র,পুনর্বাসন কেন্দ্র ইত্যাদিসহ অটিস্টিকদের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়।

সম্প্রতি বাংলাদেশে এক বিশেষ গবেষণায় সাউন্ড থেরাপির মাধ্যমে আরও যে যে সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় তা হলো, চোখে কম দেখা,কানে কম শোনা,প্রায়ই মন খারাপ থাকা,নিজের প্রতি ক্ষিপ্ততা ও আত্নহত্যা প্রবণতা, কিছুই ভালো না লাগা,অস্থির ভাব ও যে কোন কাজে মনযোগে অক্ষমতা,যৌন অনিহা,কোষ্ঠকাঠিন্য,গ্যাস্ট্রিক ও খাদ্যে অরুচি,খিটখিটে মেজাজ বা অল্পতেই রেগে যাওয়া,সকল কাজেই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব বা সিদ্ধান্ত হীনতা, মাথা ঘোরানো বা ভার সাম্য হারানো, স্বাভাবিক ভাবে ঘুম না আসা কিংবা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ঘুম থেকে ওঠা ইত্যাদি।এক কথায়, মেডিটেশনের ফলে যতোটা শারীরিক মানসিক উন্নয়ন ঘটে তার সবটাই এই সাউন্ড থেরাপি প্রয়োগ দ্বারাও সম্ভব!এতে মন শান্ত হয় আর শরীরও করে তরতাজা।বাংলাদেশেও বিভিন্ন স্থানে এর ব্যাবহার ও অগ্রগতির প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে।

মো: শোয়েব হোসেন (লেখক)
সাউন্ড থেরাপি গবেষক,
সংগীত শিক্ষক ও কণ্ঠশিল্পী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি