1. abukowsarmithu@gmail.com : abuko wsarmithu : abuko wsarmithu
  2. admin@dainikgonotontro.com : gontadmin :
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
যুবদলের পক্ষ থেকে ২০২৫ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নড়াগাতীতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি  গণঅভ্যুত্থানে নিহত দুই শহীদ শ্রমিক পরিবারের পাশে শ্রমিক দল জমির মালিককে বাদ দিয়ে সাধারণ কৃষকের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বগুড়া’র শেরপুর সরকারি কলেজে সরস্বতী পূজা নওগাঁয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক আটক নওগাঁয় ৩০ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও গুণীজনদের সম্মাননা শিবির ক্যাডার ছোট সাজ্জাদের সহযোগী জাবেদের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ! কোয়েপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে বক্তারা শিক্ষার্থীরা দেশের আলোকিত ভবিষ্যতের রূপকার শার্শায় গড়ে উঠেছে পুষ্টি নিরাপত্তায় মডেল বাগান

নড়াইল শহরাংশে চার লেন মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প সময় বাড়িয়েও নির্মাণকাজ শেষ নিয়ে সংশয়

  • প্রকাশিত : সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩০ বার পাঠ করা হয়েছে

* অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের কারণে কাজে ধীরগতি

* প্রকল্পের মেয়াদ এক দফা বাড়িয়েও তিন বছরে কাজ হয়েছে মাত্র ৭০ ভাগ
* ৬ মাসে করতে হবে বাকি ৩০ শতাংশ কাজ

মো. রাসেল শেখ, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
প্রায় ১৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে নড়াইল শহরাংশের চার লেনে জাতীয় মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন শীর্ষ প্রকল্পের নির্মাণকাজে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অবৈধ স্থাপনা। দুই পাশের সড়ক ও জনপথের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে জটিলতার কারণে প্রকল্পের কাজে দেখা দিয়েছে ধীরগতি। তবে দখলদারদের মাত্র ৬০ শতাংশ উচ্ছেদ করা গেলেও এখনো অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ ৪০ শতাংশ বাকি আছে। যে কারণে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের প্রতিবন্ধকতায় চলতি বছরের (২০২৫) জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পের বর্ধিত মেয়াদ আছে ৬ মাসেরও কম। এখনো ৩০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে। ফলে এই সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় মহাসড়কের অংশ হিসেবে সড়ক বিভাগের অধীনে শহরতলি মালিবাগ থেকে সীতারামপুর পর্যন্ত নড়াইল পৌর শহর অংশের ৫ দশমিক ৭৯১ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ও চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালে শুরু হয়। ১৭৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সওজ অধিদপ্তর। আর সড়ক বিভাগের পক্ষে কাজটি তদারকি করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৯ ইসিবি। এর আগে গত ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। চার লেনের সড়কটি সদরের মালিবাগ থেকে নড়াইল পৌর শহর হয়ে সীতারামপুর গিয়ে যশোর বেনাপোল মহাসড়কে যুক্ত করেছে। নড়াইল শহরটির যানজট নিরসনের জন্য স্বপ্নের ৪ লেন সড়কের কাজ শুরু থেকেই গত তিন বছর ধরে চলছে ঢিমেতালে। কারণ হিসেবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সড়কের দুই পাশের কিছু স্থানে স্থাপনা এখনো সরানো যায়নি। এছাড়া মামলা জটিলতায় দীর্ঘ সময় পার হয়েছে। এর আগে চার লেনের সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের জন্য বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেয় সওজ। কিন্তু ভাঙার আওতায় থাকা নড়াইল পৌর শহরের ভওয়াখালী ও রুপগঞ্জ বাজারের ব্যক্তি পর্যায়ের বেশ কয়েকটি মার্কেট, নড়াইল পৌরসভা ও জেলা পরিষদের কয়েকটি মার্কেটও রয়েছে। দফায় দফায় নোটিশ পাঠিয়ে এবং মাইকিং করেও সড়কের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা অপসারণে উদ্যোগ নেয়নি দখলদারেরা। যে কারণে স্থাপনা উচ্ছেদে কঠোর অবস্থানে নিয়ে সওজের বেদখল জায়গাগুলি যৌথ অভিযান চালিয়ে দখল মুক্ত করা হচ্ছে। তবে দখলদারদের মাত্র ৬০ শতাংশ উচ্ছেদ করা গেলেও এখনো অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ ৪০ শতাংশ বাকি আছে। ফলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযানের কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। ফলে যান চলাচলে বিড়ম্বনার পাশাপাশি ভোগান্তিতে চলাচলকারীরা। তবে সব সংকট কাটিয়ে চলতি বর্ধিত মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দ্রæতই কাজ শেষ করার আশ্বাস প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-বেনাপোল মহাসড়কের মালিবাগ চত্ত¡র থেকে নড়াইল শহরে প্রবেশ করেছে এই সড়কটি। এক রাস্তার শহর হিসেবে গড়ে উঠেছে নড়াইল। শহরের প্রাণ কেন্দ্র পুরাতন বাস টার্মিনাল থেকে একমাত্র প্রধান সড়ক দিয়ে মাগুরা,যশোর-খুলনা ও বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারী যানবাহনসহ জেলার অভ্যন্তরীণ রুটে নিয়মিত বাসসহ যানবাহন চলাচল করার কারণে সড়কে বাড়তি যানবাহনের চাপ থাকে। এছাড়া শহরের ভেতরের প্রধান সড়কটি অনেকটা সংকুচিত হওয়ায় এবং মাঝে ডিভাইডার না থাকায় প্রায়ই ঘটতো দুর্ঘটনা। এছাড়া শহরের লোকসংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি যানবাহনের সংখ্যাও বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে যানজটে অতিষ্ঠ শহরের বাসিন্দাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কটিকে চার লেনে রূপান্তরের জন্য এ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।
স্থানীয়রা বলছেন,নড়াইলের ঐতিহ্য প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রতœসম্পদ,শহরের কেন্দ্রে চিত্রানদীর পাশে জমিদার বাড়ীর অবস্থান,নদীতীরে প্রশস্থ সিড়িসহ একটি রাজকীয় ঘাট, বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের স্বপ্নের শিশু স্বর্গ,আর্ট গ্যালারী ও স্মৃতি সংগ্রহশালা। এখানে রয়েছে সুলতানের দুর্লভ ছবি এবং শতবছরের নকশী কাঁথা। আছে প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী উদয় শংকর ও তাঁর সহোদর উপমহাদেশে বিশিষ্ট সেতার বাদক রবি শংকরের পৈত্রিক বাড়ীসহ চিত্রা নদীর অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিবছর দেশ বিদেশের পর্যটকরা বেড়াতে আসেন এখানে। নড়াইলের ব্যস্ততম সড়কটি শহরের প্রবেশ দ্বার এবং অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,ব্যাংক-বীমা,বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং হোটেল-রেস্তোরা এ সড়কটির উভয় পাশে অবস্থিত। ফলে যাত্রীবাহী বিভিন্ন প্রকার ক্রমবর্ধমান যানবাহনের কারণে সড়কে যানজট লেগে থাকে। যে কারণে শহরকে যানজটমুক্ত রাখতে চার লেন সড়ক নির্মাণ করছে সওজ বিভাগ।
জানতে চাইলে নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম জানান,‘ চার লেন প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়ক ও জনপথের জায়গা অবৈধ দখলদার থেকে দখল মুক্ত করা। সড়কের উভয় পাশের কিছু কিছু স্থাপনা এখনো সরানো যায়নি। কাজ এগিয়ে নিতে নড়াইল শহরাংশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বিভিন্ন সময়ে নোটিশ দেওয়ার পরও দখলদাররা জায়গা খালি না করায় ইতিমধ্যে অভিযানে ৬০ শতাংশ উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখনো ৪০ শতাংশ অবৈধ দখলদারেরা উচ্ছেদ বন্ধে মামলা-মকদ্দমা করে আছে। এছাড়া ব্যবসায়ী তথা বাজার কমিটির লোকজন উচ্ছেদ বন্ধে সাধারণ দখলদারদের ভুল বুঝিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট আপত্তি দিয়েছিলেন। কোনো স্থাপনা, মার্কেট বা দোকান উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলে, সেগুলো আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে দখল মুক্ত করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এসব কারণে এবং সেনাবাহিনীর নির্দেশে নির্মাণ কাজের কিছু আইটেম বাড়ানো হয়েছে। বিধায় কাজে ধীরগতি হলেও সব সংকট কাটিয়ে চলতি বর্ধিত মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কাজ শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। ইজিবাইক চালক বায়েজিদ শেখসহ কয়েকজন ভ্যানচালক জানান,‘ বহুল প্রত্যাশিত চার লেন সড়কের কাজ শুরু করা হলেও গত তিন বছরেও শেষ হয়নি। সড়কের কাজটি দীর্ঘদিন ধীরে ধীরে হওয়ায় শহরের যানজট বেড়েছে। আর ধুলোবালির মধ্যে ভোগান্তি বেড়েছে পথচারীদের। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, অফিসগামী ও সাধারণ লোকজনকে পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। বাস চালক সোলাইমান ফকির বলেন,‘কাজে ধীরগতির কারণে বর্ষায় কর্দমাক্ত এবং শুস্ক মৌসুমে সড়কের ধূলাবালিতে নাভিশ্বাস উঠেছে এ সড়কে যাতায়াতকারী মানুষের। প্রকল্পের মেয়াদ চলে গেলেও এখনও কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় যাতায়াতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন মানুষ।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি