সুরুজ্জামান রাসেল
গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুর মহানগরীর সদর থানার জয়দেবপুর বাজার সংলগ্ন মিডিয়া সেন্টারে কাশিমপুর থানা এলাকার এক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী শাহ আলম (৪২) কে ১০ দিন থানায় আটকে রেখে নির্যাতনসহ মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণের অভিযোগে কাশিমপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন শাহ আলমের স্ত্রী রোজিনা বেগম। শনিবার (২৫ জানুয়ারী) দুপুরে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীর স্ত্রী গণমাধ্যমকে জানান, পারিবারিক কলহের বিষয়ে কাশিমপুর থানায় এক অভিযোগে ২০২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে পুলিশ এসে শাহ আলমকে হাত কড়া পড়িয়ে থানায় নিয়ে যায়। ওই দিনই থানা থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে শাহ আলমের ভাগ্নে শিমুল খান কাশিমপুর থানায় গেলে কনস্টেবল (ওয়ারল্যাস অপারেটর) শফিক ২ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করে। এরপর শাহ আলমের ভাগ্নে শিমুল খানের কাছ থেকে কাশিমপুর থানার কনস্টেবল শফিক ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ আদায় করলেও শাহ আলমকে ছাড়েনি। বারবার কাশিমপুর থানায় গিয়ে অনেক অনুনয়-বিনয় করলেও কনস্টেবল শফিক উল্টো মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকী দেয়। পুলিশের চাহিদামত টাকা দিতে না পারায় গত ০৫/০১/২০২৫ তারিখে কাশিমপুর থানার সাব-ইন্সস্পেক্টর মো. মিজানুর রহমান ভুক্তভোগীকে ২০২৪ সালের ৩১ আগস্টের কাশিমপুর থানার জিআর ১৭৩ নং ডাকাতি মামলায় অজ্ঞাত আসামী হিসেবে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জানিয়ে গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করেন। এতে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। প্রকৃতপক্ষে, ওই জিআর ১৭৩ নম্বর মামলার ঘটনার সময় ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট শাহ আলম কাশিমপুর থানার অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আটক ছিলেন।
এবিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার নাসের বলেন, অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply