রাসের শেখ, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রতিবন্ধী মেয়েকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মাতুব্বররা শালিস বৈঠক করে দু’লাখ টাকায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার বিকেলে ব্রাম্মনডাঙ্গা বাজারে উলফাত স্টোরের ভিতরে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ধর্ষক উলফাতকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে । উলফাত চর ব্রামণডাঙ্গা গ্রামের শামসু মোল্যার ছেলে। জানা গেছে,নড়াইলের লোহাগড়ার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের হান্দলা গ্রামের শ্রবন প্রতিবন্ধী মেয়ে রোববার বিকেলে ব্রাম্মনডাঙ্গা বাজারে উলফাতের দোকানে কেনাকাটা করতে যায়। দোকানদার উলফাত (৪৫) তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দোকানের ভিতর ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী মেয়েটি প্রতিবন্ধী হওয়ায় সে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ করতে না পারলেও স্থানীয়দের মধ্যে বিষয়টা জানাজানি হয়। পরে মেয়ের মাকে খবর দিলে তিনি এসে মেয়েকে চেকআপ করে ঘটনার সত্যতা পায়। তখন বাজারের লোকজন মেয়ের মাকে উপযুক্ত বিচার দিবেন বলে আশ্বাস দেন।
অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী একটি মহল ওই পরিবারটিকে আইনগত পদক্ষেপ না নিতে চাপ দেয়। এমনকি ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। রাতেই অভিযুক্ত উলফাতকে নিয়ে বাজারের সভাপতি কামরুল ইসলাম সাবু ও স্থানীয় মাতুব্বর লাভলু, নাজির, তাইজেল, জাকির, বোরাকসহ ১০-১২ জনকে নিয়ে বাজারের মধ্যে শালিস বৈঠকে বসে। সকলের সম্মতিক্রমে ধর্ষক উলফাত মোল্লাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। ধর্ষিতার চাচা বলেন, ওই শালিস বৈঠকে তাদের ডাকা হয়নি। ইজ্জত তো চলেই গেছে, টাকা দিয়ে কি হবে? লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি না । উলফাত মোল্লার ভাতিজি বলেন, তার চাচা নির্দোষ। তাকে মিথ্যা ভাবে ফাঁসিয়ে দিয়েছে মাতুব্বররা। যেখানে ২ লাখ টাকা দিয়ে সমাধান করা হলো সেখানে তাদের বাড়িতে পুলিশ ও সাংবাদিকরা কেন আসলো ?
এ ব্যাপারে মাতুব্বর নাজিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি ধর্ষণ ও শালিসের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশিকুর রহমান জানান,ধর্ষক উলফাতকে সোমবার সন্ধ্যায় আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার কোনো লিখিত অভিযোগ না করায় তাকে ৫৪ ধারায় মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে
Leave a Reply