1. abukowsarmithu@gmail.com : abuko wsarmithu : abuko wsarmithu
  2. admin@dainikgonotontro.com : gontadmin :
বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নওগাঁর পৃথক উপজেলায় সড়কের ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বেনাপোলে আমদনি-রপ্তানি ও পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক দেশ বিরোধী ইসকন এর ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল লামায় বোরো ধানের বীজ পেল ১ হাজার ১৫০ কৃষক গোবিন্দগঞ্জে কিনু হত্যা কারীর ফাঁসি,জরিতদের আটকের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। যশোরের বেনাপোল মুক্ত দিবস আজ রাউজানে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত প্রদর্শনীর মাঠ দিবস চাঁপাইনবাবগঞ্জে শুরু হয়েছে দুই দিনের তথ্যমেলা আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সাথে নবনিযুক্ত পরিচালক এর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় গোপালগঞ্জের জায়গা জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী–র‍্যাব ও পুলিশ

নিখোজের একদিন পর হানিফ ফ্লাইওভারের নীচে মিলল ড্রাইভারের মৃতদেহ

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১২ বার পাঠ করা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি :

রাজধানীর সবুজবাগের বাসাবো এলাকা থেকে নিখোঁজের একদিন পর যাত্রাবাড়ীর হানিফ ফ্লাইওভারের পাওয়া গেল গাড়িচালক সোহেল মিয়ার(৩৮) রক্তাক্ত মরদেহ। ঘটনার পর থেকে বাসাবো এলাকার গ্যারেজ মালিক রুবেল পলাতক রয়েছে।পুলিশের ধারণা তাকে গ্যারেজে হত্যা করে হানিফ ফ্লাইওভারে ফেলে যায় হত্যাকারীরা।

সোহেল শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার আকন কান্দি গ্রামের মৃত মোখলেসুর রহমানের ছেলে। বর্তমানে পরিবারের সাথে সবুজবাগের বাসাবো কদমতলা এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শুক্রবার (১ নভেম্বর )ভোর ছয়টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে দুপুরের দিকে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে মরদেহ পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিহতের আত্মীয় হাবিবুর রহমান জানান, সোহেল পেশায় গাড়ি চালক ও নিজেই মালিক।গতকাল সবুজবাগের উত্তর বাসাবো ঝিলপাড় গ্যারেজের গাড়ি মেরামত করার জন্য যায়।গ্যারেজের মালিক রুবেল বলে গাড়ির কাজের জন্য কিছু পার্টস আনতে হবে।এই বলে গাড়ির পার্টস আনার জন‍্য যায় সোহেল। পরে ফোন দিলে আর সোহেল কে ফোনে পাওয়া যায় না।পরে সোহেলে স্ত্রী শারমিন গ্যারেজে গিয়ে তার স্বামীর খোঁজ করলে রুবেল বলে তাকে পার্টস আনতে দিয়েছি।তার স্ত্রী বারবার ফোন করলে তাকে ফোনে পায়না।পরে সবুজবাগ থানায় একটা জিডি করেন। পরে সুমনের লাশ ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে আমরা দেখতে পাই।তিনি জানান গ্যারেজে মালিক সুকৌশলে সোহেলকে হত্যা করেছে বলেও জানান তিনি।গ্যারেজ মালিক রুবেল পলাতক রয়েছে।

যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই)মো আমির হোসেন বলেন,হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজার লোকজন আমাদের খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে যাই।পরে ধোলাইপাড় ফ্লাইওভারের উপর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সোহেল মিয়া নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করি।পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরো জানান,আমরা জানতে পেরেছি নিহত পেশায় প্রাইভেট কার চালক ছিলেন। গতকালকে উত্তর বাসাবো এলাকায় একটি গ্যারেজে গাড়ি কাজের জন্য যায় তারপরে আর বাসায় ফিরে আসেনি।তার মাথার বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ভারী কোন বস্তু ও ধারালো অস্ত্র আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। পরে আমরা সবুজবাগ থানার সাথে যোগাযোগ করলে জানা যায় সেখানে একটি জিডি হয়েছে পরে আমরা বিষয়টি সবুজবাগ থানা কে জানাই এবং বর্তমানে বিষয়টি তারাই তদন্ত করছে।

আজ বিকেলের দিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সবুজবাগ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)ইয়াসিন আলী বলেন, গতকাল নিহত সোহেলের স্ত্রী শারমিন তার স্বামীকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন আমাদের থানায়। পরে আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করি। সকালে জানতে পারলাম হানিফ ফ্লাইওভার থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। পরে আমাদের অফিসার এবং তার স্ত্রী ঢাকা মেডিকেলে মর্গে গিয়ে সোহেলের পরিচয় সনাক্ত করে।

তিনি আরো জানান, নিহতের স্ত্রী জানান তার স্বামী পেশায় একজন প্রাইভেটকার চালক ছিলেন। সেই প্রাইভেট কারের কাজ করার জন্য সবুজবাগের বাস ঝিলপার এলাকায় রুবেল নামে একজনের গাড়ির গ্যারেজে যায়। তার স্বামীকে মোবাইলে না পেয়ে সে ওই গ্যারেজে যায়। কিন্তু তার স্বামীর আর যোগাযোগ করতে পারেনি। এই ঘটনায় আমরা ওই গ্যারেজে গিয়ে রক্তের আলামত পাই। ধারণা করা হচ্ছে গ্যারেজ মালিক রুবেল ওইখান থেকে তাকে হত্যা করে ফ্লাইওভারে ফেলে গেছে। ঘটনার পর থেকে গ্যারেজ মালিক রুবেল পলাতক রয়েছে। রুবেলকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই এই ঘটনার আসল রহস্য জানা যাবে বলে। এই ঘটনায় সবুজবাগ থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

কক্সবাজারে পৃথক অভিযানে আটক ৭, এলজি ও গুলি উদ্ধার কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গত এক সপ্তাহে বিপুল পরিমাণের অস্ত্র উদ্ধারসহ ৩০ জনের বেশি অপরাধীদের আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) ও মঙ্গলবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে দুটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ ও বিদেশি ছুরিসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি টিম শহরে টহলে বের হয়। এমন সময় খুরুশকুলের ছনখোলা বাজার রোড-সাম্পানঘাটের জাহাঙ্গীর কাশেমের মাছের প্রজেক্টের সম্মুখে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সিএনজি দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। এসময় উক্ত সিএনজি তল্লাশি করলে অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। পাশাপাশি সিএনজিতে থাকা দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাড়ি থেকে দেশীয় তৈরি দুটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন—কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের লিংক রোড মুহুরী পাড়ার বজল কবিরের ছেলে সিএনজি চালক আব্দুর রহিম ইলিয়াস (৩৮), একই এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মোহাম্মদ ওসমান (৫৪)। জানা গেছে, গ্রেপ্তার আসামিরা উপকূল দিয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এনে শহরের বিভিন্ন এলাকার অপরাধীদের কাছে সরবরাহ করছিল। এদিকে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের অভিযানে বিদেশি ও দেশীয় তৈরি পাঁচটি ছুরিসহ পাঁচ ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১টি ধারালো টিপ ছুরি, ৪টি ধারালো ফোল্ডিং ছুরি ও ১টি ব্যাটারিচালিত টমটম অটোরিকশা। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভোরে সদর থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়। আটক পাঁচ ছিনতাইকারী হলেন—সমিতি পাড়ার আলী হোসেনের ছেলে মো. সাহেদ হোসেন (১৮), একই এলাকার নুর নবীর ছেলে মো. রহিম (১৯), মোক্তার আহমদের ছেলে মো. রাকিব (১৯), চকরিয়া ঢেমুশিয়ার নুর নবীর ছেলে শহীদ হোসাইন (২৫) ও মহেশখালীর কুতুবজোম চরপাড়ার নবাব সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আব্দুর রহিম (১৬)। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান বলেন, কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানা পুলিশের অভিযানে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রেকর্ড করে আদালতের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি সময়ে যে সকল অস্ত্রবাজ ও ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে। যেন তাদের কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুরো অপরাধী সিন্ডিকেট আইনের আওতায় আনা যায়।

কক্সবাজারে পৃথক অভিযানে আটক ৭, এলজি ও গুলি উদ্ধার কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গত এক সপ্তাহে বিপুল পরিমাণের অস্ত্র উদ্ধারসহ ৩০ জনের বেশি অপরাধীদের আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) ও মঙ্গলবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে দুটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ ও বিদেশি ছুরিসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি টিম শহরে টহলে বের হয়। এমন সময় খুরুশকুলের ছনখোলা বাজার রোড-সাম্পানঘাটের জাহাঙ্গীর কাশেমের মাছের প্রজেক্টের সম্মুখে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সিএনজি দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। এসময় উক্ত সিএনজি তল্লাশি করলে অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। পাশাপাশি সিএনজিতে থাকা দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাড়ি থেকে দেশীয় তৈরি দুটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন—কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের লিংক রোড মুহুরী পাড়ার বজল কবিরের ছেলে সিএনজি চালক আব্দুর রহিম ইলিয়াস (৩৮), একই এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মোহাম্মদ ওসমান (৫৪)। জানা গেছে, গ্রেপ্তার আসামিরা উপকূল দিয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এনে শহরের বিভিন্ন এলাকার অপরাধীদের কাছে সরবরাহ করছিল। এদিকে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের অভিযানে বিদেশি ও দেশীয় তৈরি পাঁচটি ছুরিসহ পাঁচ ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১টি ধারালো টিপ ছুরি, ৪টি ধারালো ফোল্ডিং ছুরি ও ১টি ব্যাটারিচালিত টমটম অটোরিকশা। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভোরে সদর থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়। আটক পাঁচ ছিনতাইকারী হলেন—সমিতি পাড়ার আলী হোসেনের ছেলে মো. সাহেদ হোসেন (১৮), একই এলাকার নুর নবীর ছেলে মো. রহিম (১৯), মোক্তার আহমদের ছেলে মো. রাকিব (১৯), চকরিয়া ঢেমুশিয়ার নুর নবীর ছেলে শহীদ হোসাইন (২৫) ও মহেশখালীর কুতুবজোম চরপাড়ার নবাব সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আব্দুর রহিম (১৬)। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান বলেন, কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানা পুলিশের অভিযানে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রেকর্ড করে আদালতের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি সময়ে যে সকল অস্ত্রবাজ ও ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে। যেন তাদের কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুরো অপরাধী সিন্ডিকেট আইনের আওতায় আনা যায়।

© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি