1. abukowsarmithu@gmail.com : abuko wsarmithu : abuko wsarmithu
  2. admin@dainikgonotontro.com : gontadmin :
বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নওগাঁর পৃথক উপজেলায় সড়কের ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বেনাপোলে আমদনি-রপ্তানি ও পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক দেশ বিরোধী ইসকন এর ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল লামায় বোরো ধানের বীজ পেল ১ হাজার ১৫০ কৃষক গোবিন্দগঞ্জে কিনু হত্যা কারীর ফাঁসি,জরিতদের আটকের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। যশোরের বেনাপোল মুক্ত দিবস আজ রাউজানে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত প্রদর্শনীর মাঠ দিবস চাঁপাইনবাবগঞ্জে শুরু হয়েছে দুই দিনের তথ্যমেলা আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সাথে নবনিযুক্ত পরিচালক এর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় গোপালগঞ্জের জায়গা জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী–র‍্যাব ও পুলিশ

ঠাকুরগাঁওয়ে পীরগঞ্জের অরেঞ্জ ভ্যালি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হলো

  • প্রকাশিত : রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
  • ২৪ বার পাঠ করা হয়েছে

মোঃ মেহেদী হাসান ফুয়াদ

আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হলো ঠাকুরগাও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার অরেঞ্জ ভ্যালি । খুলে দেয়ার প্রথম দিনেই সারা মিলেছে ব্যাপক। ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার মালঞ্চা গ্রামের অরেঞ্জ ভ্যালিতে দার্জিলিং জাতের কমলাগাছের ডালে ডালে এবারও থোকায় থোকায় ঝুলছে ছোট-বড় সবুজ কমলা।

কমলার ভারে হেলে পড়েছে গাছের ডালপালা। কমলার পাশাপাশি এবার সেখানে চাষ করা হয়েছে মাল্টাও।এ মাল্টা আবার সবুজ নয়,কমলার মত হলুদ রঙের। সবুজ জাতের মাল্টা গুলো কিছুটা টক হলেও হলুত জাতের এই মাল্টা গুলো দারুণ মিষ্টি। নয়নাভিরাম এ কমলা বাগান দেখতে প্রথম দিনেই দেখা মিলে দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো দর্শনার্থীর। তাদের আগ্রহ দেখে মনে হয়েছে যেন তারা আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা ছিল কবে এই অরেঞ্জ ভ্যালি খুলে দেয়া হবে। দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থী আসতে শুরু করেছে বাগানে। মিষ্টি এবং রসালো এ কমলা ও মাল্টা বাগানেই বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। বাগান থেকে এবার প্রায় ৮হাজার থেকে ১০হাজার কেজি কমলা বিক্রি হবে প্রায়৩০ লাখ টাকার।সঙ্গে রয়েছে হলুদ মাল্টা। বাগান মালিক আশা করছে ফলন কম হলেও দামে এবার তা পুষিয়ে যাবে।

পীরগঞ্জ উপজেলার ২নং –কোষারানীগঞ্জ ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামের আড়াই বিঘা জমির ওপর ভারতীয় দার্জিলিং জাতের কমলার বাগান করেছেন পীরগঞ্জ উপজেলার বীরহলি গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা আবু জাহিদ ইবনুল ইকরাম জুয়েল। বাগানটিতে আড়াইশোর মতো কমলাগাছ রয়েছে। নবমবারের মতো তাঁর এ বাগানের গাছে এবার কিছুটা কম কমলা ধরেছে। তবে কমলার আকার অন্যান্য বারের চেয়ে ভাল। ১১ বছর আগে ঠাকুরগাঁও জেলা হর্টিকালচার থেকে প্রতি চারা ৫ টাকা করে ক্রয় করে রোপণ করেন জুয়েল। যদিও তার এ বাগান করার ইচ্ছা ছিল না। শুধু হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তাদের অনুরোধে তিনি কমলার চারাগুলো কিনেছিলেন। এখন সেই আড়াইশো গাছ থেকে বার্ষিক প্রায় ৩০ লাখ টাকার কমলা বিক্রি করছেন কৃষি উদ্যোক্তা জুয়েল। এবার কমলার সঙ্গে বিক্রি করছেন হলুদ মাল্টা। দিন যত যাবে দর্শনার্থীদের ভিড় ততই বাড়বে। আর এই চাপ সামলাতে এবার আগের ভাগেই বাড়তি ব্যবস্থা নিয়েছেন মালিক। কড়া নিরাপত্তা সহ বাগানে প্রবেশের জন্য ৪০ টাকা মূল্যের টিকিটের ব্যবস্থা করেছেন। কমলা বাগান দেখতে এসে বাগানের সৌন্দর্য অবলোকন করার পাশাপাশি দর্শনার্থীরা যাতে ক্লান্তি দুর করতে পারেন সে জন্য এবার বাগানে ক্যাফে যুক্ত করা হয়েছে পারবেন।শিশুদের বিনোদনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে প্লেজোন।রয়েছে গাছ দিয়ে সাজানো অসংখ্য সেলফি বুথ। উদ্যোক্তা জুয়েল জানান, তাঁর বাগানে দার্জিলিং জাতের কমলা বারী-৪ জাতের হলুদ রং এর মাল্টা চাষ হয়। এ বাগানের কমলা মাল্টা স্বাদে দার্জিলিংয়ের কমলা ও মাল্টার মতো। অর্গানিক পদ্ধতিতে তিনি এ বাগান করেছেন। কোনো কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। বাগানের কমলা ৪০০ ও মাল্টা ৩০০ গাছ রয়েছে। এবার ১০ হাজার কেজি কমলা ও ৭হাজার মাল্টা উৎপাদন হবে বলে বাগানের মালিক জুয়েল জানিয়েছেন।ভারতীয় দার্জিলিং জাতের কমলাগাছ ৫০ বছর পর্যন্ত ফল দেয়। এটি একটি অর্থকরী ফসল, যা খুব সহজে ও স্বল্প খরচে উৎপাদন করা যায় বলে জানান তিনি। কেউ যদি এমন বাগান করতে চায়, তাহলে তার পক্ষ থেকে কমলা চাষ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন বলেও জানান সফল এ উদ্যোক্তা। যাবেন কি ভাবেঃ দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে ট্রেন ও বাস উভয় বাহনে যাওয়া যাবে। পীরগঞ্জ ষ্টেশনে নেমে ৪ থেকে সাড়ে ৪ কিলোমিটার ও বাসযোগে চৌরাস্তা মোড়ে নেমে ৪ কিলোমিটার রিস্কা, ভ্যান, ইজবাইক যোগে যাওয়া যাবে। যারা বিমানে যেতে যেতে চান তাদেরকে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে নেমে সেখান থেকে কার, মাইক্রো অথবা বাসে করে যাওয়া যাবে। থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থাঃ খেতে গেলে যেতে হবে চৌরাস্তার মোড়ে। ফাস্টফুট পাওয়া যাবে বাগানের ভিতরে ক্যাফেতে। থাকতে হলে পীরগঞ্জ উপজেলা শহরে অথবা ঠাকুরগাঁও জেলা শহরে যেতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

কক্সবাজারে পৃথক অভিযানে আটক ৭, এলজি ও গুলি উদ্ধার কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গত এক সপ্তাহে বিপুল পরিমাণের অস্ত্র উদ্ধারসহ ৩০ জনের বেশি অপরাধীদের আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) ও মঙ্গলবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে দুটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ ও বিদেশি ছুরিসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি টিম শহরে টহলে বের হয়। এমন সময় খুরুশকুলের ছনখোলা বাজার রোড-সাম্পানঘাটের জাহাঙ্গীর কাশেমের মাছের প্রজেক্টের সম্মুখে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সিএনজি দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। এসময় উক্ত সিএনজি তল্লাশি করলে অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। পাশাপাশি সিএনজিতে থাকা দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাড়ি থেকে দেশীয় তৈরি দুটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন—কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের লিংক রোড মুহুরী পাড়ার বজল কবিরের ছেলে সিএনজি চালক আব্দুর রহিম ইলিয়াস (৩৮), একই এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মোহাম্মদ ওসমান (৫৪)। জানা গেছে, গ্রেপ্তার আসামিরা উপকূল দিয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এনে শহরের বিভিন্ন এলাকার অপরাধীদের কাছে সরবরাহ করছিল। এদিকে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের অভিযানে বিদেশি ও দেশীয় তৈরি পাঁচটি ছুরিসহ পাঁচ ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১টি ধারালো টিপ ছুরি, ৪টি ধারালো ফোল্ডিং ছুরি ও ১টি ব্যাটারিচালিত টমটম অটোরিকশা। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভোরে সদর থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়। আটক পাঁচ ছিনতাইকারী হলেন—সমিতি পাড়ার আলী হোসেনের ছেলে মো. সাহেদ হোসেন (১৮), একই এলাকার নুর নবীর ছেলে মো. রহিম (১৯), মোক্তার আহমদের ছেলে মো. রাকিব (১৯), চকরিয়া ঢেমুশিয়ার নুর নবীর ছেলে শহীদ হোসাইন (২৫) ও মহেশখালীর কুতুবজোম চরপাড়ার নবাব সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আব্দুর রহিম (১৬)। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান বলেন, কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানা পুলিশের অভিযানে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রেকর্ড করে আদালতের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি সময়ে যে সকল অস্ত্রবাজ ও ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে। যেন তাদের কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুরো অপরাধী সিন্ডিকেট আইনের আওতায় আনা যায়।

© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি