1. abukowsarmithu@gmail.com : abuko wsarmithu : abuko wsarmithu
  2. admin@dainikgonotontro.com : gontadmin :
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে গেলেন ইসকনের ৭৫ জন ভক্ত মিথ্যা অপপ্রচার ও ভিডিও সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ- কাদরা প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের নিম্নমানের কাজের বিরুদ্ধে মানববন্ধন হতদরিদ্র পরিবারের প্রতিবন্ধী তিন বোন বেঁচে থাকতে চায় পুঠিয়ায় বাসের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু ১১ শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ মুক্ত ১৭৪ ও পলাতক ৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ : কারা মহাপরিদর্শক বিএনপি”র ৩১ দফা প্রচারে কেন্দ্রীয় যুবদল মদনে আনজুমান-এ-মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারীর প্রস্তুতি সভা ৬ ডিসেম্বর ক্ষুদিরাম এক্কা এর মৃত্যুতে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের শোক প্রকাশ বেনাপোল দিয়ে ৩ দিনে ১৬৪৮ ট্রাক পণ্য ও প্রায় ১২ হাজার পাসপোর্টযাত্রী চলাচল করেছে

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিমের বিবৃতি

  • প্রকাশিত : শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১০ বার পাঠ করা হয়েছে

স ম জিয়াউর রহমান :

বিবৃতিতে আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আগামীকাল থেকে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের যাত্রা শুরু। এই মাসে বাঙালি জাতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্ব গৌরবগাথা বিজয় অর্জন করে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালি জাতি হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীনতা অর্জন করে।

দখলদার পাকিস্তানি ঔপনিবেশবাদের অর্গল ভেঙ্গে অভ্যুদয় হয় স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। সমাগত বিজয়ের মাসের এই শুভক্ষণে আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সুমহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০লক্ষ শহিদ এবং ২ লক্ষ সম্ভ্রমহারা মা-বোনের প্রতি হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। দীর্ঘদিন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালি জাতি অনবদ্য লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে পেল চির-আকাঙ্ক্ষিত মুক্তির স্বাদ। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে কার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটা যুদ্ধা বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলা কত কঠিন ছিল তা আজকের বাংলাদেশের দিকে তাকালে বোঝা যায়। অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে ধ্বংস করছে। পরিকল্পিতভাবে ঘৃণা উৎপাদনের সংস্কৃতিতে নিমজ্জিত করা হয়েছে সমগ্র বাংলাদেশকে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা হয়েছে। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ অন্যান্য সম্প্রদায় ও জাতিগোষ্ঠীর বাড়ি-ঘর, অফিস-আদালতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। নির্বিচারে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। মানুষে মানুষে বিভাজন সৃষ্টি করার মাধ্যমে অবিশ্বাস ও বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। ফ্যাসিস্ট ইউনূসের মেটিক্যুলাস ডিজাইননের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল মানুষদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে হয়রানিমূলক মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দেওয়া হচ্ছে। নির্বিচারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করা হচ্ছে। বিজয়ের মাসে জননেত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং রাজবন্দীসহ সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। দেশে কোনো মানুষ এই বাংলাদেশ চায়নি। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বলছে, তারা স্বাধীনতার ৫৩বছরে অভূতপূর্ব এই দৃশ্য দেখে নাই। যেন উদ্ভট এক উটের পিঠে চলছে বাংলাদেশ, যা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বিপরীত আদর্শ প্রতিষ্ঠায় তৎপর। বিজয়ের মাসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মানুষসহ সমগ্র দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপচেষ্টা রোধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

কক্সবাজারে পৃথক অভিযানে আটক ৭, এলজি ও গুলি উদ্ধার কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গত এক সপ্তাহে বিপুল পরিমাণের অস্ত্র উদ্ধারসহ ৩০ জনের বেশি অপরাধীদের আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) ও মঙ্গলবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে দুটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ ও বিদেশি ছুরিসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি টিম শহরে টহলে বের হয়। এমন সময় খুরুশকুলের ছনখোলা বাজার রোড-সাম্পানঘাটের জাহাঙ্গীর কাশেমের মাছের প্রজেক্টের সম্মুখে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সিএনজি দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। এসময় উক্ত সিএনজি তল্লাশি করলে অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। পাশাপাশি সিএনজিতে থাকা দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাড়ি থেকে দেশীয় তৈরি দুটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন—কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের লিংক রোড মুহুরী পাড়ার বজল কবিরের ছেলে সিএনজি চালক আব্দুর রহিম ইলিয়াস (৩৮), একই এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মোহাম্মদ ওসমান (৫৪)। জানা গেছে, গ্রেপ্তার আসামিরা উপকূল দিয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এনে শহরের বিভিন্ন এলাকার অপরাধীদের কাছে সরবরাহ করছিল। এদিকে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের অভিযানে বিদেশি ও দেশীয় তৈরি পাঁচটি ছুরিসহ পাঁচ ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১টি ধারালো টিপ ছুরি, ৪টি ধারালো ফোল্ডিং ছুরি ও ১টি ব্যাটারিচালিত টমটম অটোরিকশা। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভোরে সদর থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়। আটক পাঁচ ছিনতাইকারী হলেন—সমিতি পাড়ার আলী হোসেনের ছেলে মো. সাহেদ হোসেন (১৮), একই এলাকার নুর নবীর ছেলে মো. রহিম (১৯), মোক্তার আহমদের ছেলে মো. রাকিব (১৯), চকরিয়া ঢেমুশিয়ার নুর নবীর ছেলে শহীদ হোসাইন (২৫) ও মহেশখালীর কুতুবজোম চরপাড়ার নবাব সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আব্দুর রহিম (১৬)। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান বলেন, কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানা পুলিশের অভিযানে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রেকর্ড করে আদালতের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি সময়ে যে সকল অস্ত্রবাজ ও ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে। যেন তাদের কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুরো অপরাধী সিন্ডিকেট আইনের আওতায় আনা যায়।

© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি