সুইডিশ পার্লামেন্ট সদস্য কাদির কাসিরগা’র সঙ্গে মিটিং করে বাংলাদেশে অবৈধ ইউনূস সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র তুলে ধরেন ইউরোপ প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিনিধিরা
স ম জিয়াউর রহমান :
সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে সুইডিশ পার্লামেন্টে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর ২০২৪) স্থানীয় সময় দুপুর একটা থেকে তিনটা পর্যন্ত সুইডিশ পার্লামেন্ট সদস্য কাদির কাসিরগা’র সঙ্গে ইউরোপ প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিনিধিরা এই সভায় বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
ইউরোপ প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. নজরুল ইসলাম। প্রতিনিধি দলে ছিলেন, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, সুইডেন আওয়ামী লীগ নেতা খালেদ আহমেদ চৌধুরী, ড. ফরহাদ আলী খান, মঞ্জুরুল হাসান, হাফিজুর রহমান , সৈয়দ বজলুল বারী এবং ড. মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
পার্লামেন্ট সদস্যের সঙ্গে আলোচনার পর সুইডিশ পার্লামেন্ট সদস্যগণের বরাবর স্বারকলিপি দাখিল করা হয়।
সুইডিশ পার্লামেন্ট সদস্য কাদির কাসিরগা স্বারকলিপি গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, সংখ্যালঘুদের ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার, তাদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চারবারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরকারী চেপে বসা অপশক্তির অবৈধ সরকার প্রধান ইউনূস ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে দেওয়া এই স্বারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার দুশমন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, জামায়াত, শিবির ও বিএনপি সারা দেশে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, লুটতরাজ, মন্দির-গির্জা ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদের হত্যা, পুলিশ-আনসার হত্যা, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা, সংসদ ভবন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস, বিটিভিসহ সরকারী ও বেসরকারি স্থাপনায় হামলা করে ব্যাপক ক্ষতিসাধনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জোর করে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করে।
তিনি দেশত্যাগের পর অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী ইউনূসগংরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম শাখা কার্যালয় ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা, সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নির্যাতন, হত্যা, নৈরাজ্য, মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে এবং এখনও করে চলছে। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ও ১৫ই আগস্টসহ আটটি জাতীয় দিবস বাতিল ঘোষণা করেছে। দেশের প্রাচীনতম ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে। বাঙালির মুক্তি আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে। দেশে কারো ন্যুনতম নিরাপত্তা নেই। স্বারকলিপি দাতারা আরো বলেন, ‘আমরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাস করি। কিন্তু আমাদের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশে আছেন, ওখানে আমাদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি আছে। বাংলাদেশে আমাদের পরিবারের অনেক সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের সম্পত্তি লুট করা হয়েছ। আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।
আপনাদের কাছে আমাদের অনুরোধ, সংখ্যালঘুদের ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার, নির্যাতন, হত্যা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রত্যক্ষ মদদদাতা বাংলাদেশের অবৈধ সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর চাপ প্রয়োগ করুন যাতে সে অমানবিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে চেপে বসা ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ায়।’
সুইডিশ পার্লামেন্টের সদস্য কাদির কাসিরগা বলেন, ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, প্রতিদিন মানুষ খুন হচ্ছে এসব অত্যন্ত দুঃখজনক। মানুষের কল্যাণের জন্য আমরা কাজ করি। মানবতাবিরোধীরা কখনো জয়ী হয় না।’
Leave a Reply