মোঃআরিফুল ইসলাম মুরাদ নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি:
কবি হেলাল হাফিজ স্মরণে নেত্রকোনায় নাগরিক শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নেত্রকোনা নাগরিক সমাজের ব্যানারে নাগরিক শোকসভা করা হয়।
জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে নাগরিক শোকসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস, প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সদস্য সচিব কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, কবির বোন লতিফা আহমেদ, অধ্যাপক রহুল আমিন, সংস্কৃতি কর্মী রফিকুল ইসলাম আপেল, উদীচীর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান,প্রফেসর ননী গোপাল সরকার, কবি মৃনাল চক্রবর্তী,আলপনা বেগম,অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন,মনির হোসেন বরুন, কবি ও সম্পাদক কামাল হোসাইন, কবি সজীম শাইন, প্রমুখ।
কবি হেলাল হাফিজের জন্ম ১৯৪৮ সালে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে। তার শৈশব, কৈশোর ও তারুণ্য কেটেছে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়ায়।
১৯৬৫ সালে নেত্রকোনা শহরের দত্ত উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৬৭ সালে নেত্রকোনা কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেই যে রাজধানীবাসী হন, আর ফেরেননি নিজ এলাকায়। নেত্রকোনারই এক নারীর সঙ্গে কৈশোরকাল থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কবির। কিন্তু সবে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন, ঠিক তখন ওই নারীকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেন তার মা-বাবা। এ কারণে আজীবন এক বিরহ-যন্ত্রণাকে লালন করে বেঁচেছিলেন কবি। আর তা দিয়ে বুনন করে গেছেন অনন্য সব কবিতা। চাওয়া-পাওয়ার হিসেব-নিকেশ তার কাছে ছিল নিতান্ত তুচ্ছ। এসব কারণে জন্মভূমি নেত্রকোনার প্রতিও ছিল তার এক ধরনের প্রচ্ছন্ন অভিমান।
গত ৫০ বছরে মাত্র তিনবার নেত্রকোনায় আসেন কবি। সর্বশেষ আসেন ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত নেত্রকোনার বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসবে, খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার গ্রহণ করতে। তা-ও স্থানীয় ভক্ত, সহপাঠী এবং স্বজনদের বিশেষ পীড়াপীড়িতে।
অনুষ্ঠানে হেলাল হাফিজের কবিতা আবৃত্তি করা হয়।
Leave a Reply