স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম থেকে :
এলডিপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. কর্ণেল (অবঃ) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, মানুষের মনুষ্যত্ব, নীতি নৈতিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। ছাত্রদের সঠিকভাবে লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হয়ে রাজনীতিতে আসার আহবান জানান।
শিক্ষকদের রাজনীতির সাথে জড়িত না হয়ে শিক্ষার্থীদের মানুষ গড়ার কাজে সময় দেয়ার জন্য বলেছেন তিনি। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ ছিল। তিনিই প্রথম সেনাবাহিনী থেকে মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। শহীদ জিয়াকে রেডিওতে নিয়ে গিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। দীর্ঘ ২৪ বছর ক্ষমতা থেকে ৩ বার মন্ত্রী হয়েছেন, ৬ বার এমপি হয়ে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। চন্দনাইশে বিভিন্ন সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভবন নির্মাণ করে অবকাঠামো উন্নয়ন করেছেন। সুযোগ ছিল বলে কাজ করেছি। পুনরায় সুযোগ দিলে আপনাদের জন্য কাজ করে যাবো। ভূলভ্রান্তি থাকতে পারে। সেজন্য অনুতপ্ত। ৬৩ বছর বয়সে লন্ডনে পিএইচডি করি, শিক্ষার জন্য কোন বয়স লাগে না। ১৫ বছরে দেশের সম্পদ লুন্ঠন করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে ফ্যাসিস্ট সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। সাবেক মন্ত্রী জাবেদ লন্ডনে ৮৩২টি বাড়ি করেছে। যেগুলো ঘুরে ঘুরে দেখলে নিজেই হার্ট এটাক করে মারা যাবে। দেশকে সংস্কার করতে সময় লাগবে। ডলারের হাহাকার, ব্যাংক থেকে ৫ হাজার টাকা দিতে পারছে না। আমার জন্য অনেকে রোজা রাখে, দোয়া করে। এক পর্যায়ে তিনি ছাত্র জীবনের স্মৃতি তুলে ধরে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে তার শিক্ষকদের কথা তুলে ধরেন। স্কুল কলেজ হচ্ছে, কিন্তু সঠিক শিক্ষা পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা, দেশ ঠিক রাখতে হলে ভালো মানুষ গড়ে তুলতে হবে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে দেশকে সংস্কার করতে হবে। এজন্য ড. ইউনুসকে সময় দিতে হবে। তিনি নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়ে তার ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুককে প্রার্থী করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, তার ছেলে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে একটি বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। সে জনগণের টাকা নষ্ট করবে না।
গতকাল ২৮ ডিসেম্বর (শনিবার) সকালে ঐতিহ্যবাহী যাত্রা মোহন সেন পরিবারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উপজেলার বরমা ত্রাহি মেনকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের মিলনমেলায় এসব কথা বলেছেন তিনি।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব মো. আবদুল আলীম।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে বরমা ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল গফুর খান, অধ্যক্ষ নুরুল আবছার, ডা. মঈনুদ্দিন চৌধুরী, আবদুল আহাদ পিএসসি, প্রধান শিক্ষক এএইচএম ছৈয়দ হোসেন, শিক্ষক যথাক্রমে স্বপ্না ভট্টাচার্য্য, জাহানারা বেগম, রেহেনা আকতার কাজেমী, মহিউদ্দীন ওসমান গণি, কামরুন নাহার, বলরাম চক্রবর্ত্তী, ছৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, মো. জোবায়ের, স্মৃতা চৌধুরী, কাজী মো. দেলোয়ার হোসেন, জোবাইর ছৈয়দ, মো. আমির হোসেন, এড. অঞ্জন প্রসাদ, মোঃ নাসির উদ্দিন, মোঃ আবু জাফর, মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, এস এম সেলিম, সাংবাদিক শিবলী সাদেক কপিল, মাষ্টার রুপন পাল, সাংবাদিক আছহাব উদ্দিন হিরো, এমাদ হোসেন সুজন, মোঃ রহিম উদ্দিন, সৌরভ দাশ, এড. রণি কান্তি বড়ুয়া, ইমন উদ্দিন মানিক প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে যাত্রা মোহন সেন গুপ্ত, প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম, শহীদ আবদুস ছবুর খাঁনকে মরণত্তোর সম্মাননা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এলডিপি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ওমর ফারুক, শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিপ্লব গাঙ্গুলী, দক্ষিণ জেলা এলডিপি’র সভাপতি এয়াকুব আলী, উপজেলা এলডিপি’র সভাপতি মোতাহের মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বাদশা, এলডিপি নেতা আইনুল কবির।
Leave a Reply