মোঃ আরিফুল ইসলাম মুরাদ নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধিঃ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচনের জন্য সাধারণ নির্বাচন যেটি ২০২৫ থেকে ২০২৬ সালের মাঝেই অনুষ্ঠিত হতে পারে। জুলাই বিপ্লবে ৫ই আগস্ট ২০২৪-এ সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেয়ার পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার আমূল সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শপথ নেয়। �আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নেত্রকোনার ৫টি নির্বাচনী আসনেই প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন স্থানীয় জমিয়ত নেতারা।�আসনে দলীয় প্রার্থী তালিকা কেন্দ্রে জমাদিয়েছেন। এব্যাপারে জেলা সেক্রেটারী মাওলানা মুফিজুর রহমান এই প্রতিবেদককে জানান, জমিয়ত একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক সংগঠন। সঙ্গত কারনেই আমরা নির্বাচনমুখি দল। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের প্রতিটি জেলায় আমাদের যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থী রয়েছেন। জোটগত ভাবে নেত্রকোনায় আমাদেরকে যে কোন দুটি আসন দিতে হবে। দলের কেন্দ্রীয় হাই কমান্ডের কাছে আমাদের ৫টি আসনে দলীয় প্রার্থী তালিকা দেয়া হয়েছে। নেত্রকোনার ১০টি উপজেলায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজ নিজ এলাকায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন জমিয়ত থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। তারা হলেন,�নেত্রকোনা-১ (দূর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে থেকে মননোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন মাওলানা আনোয়ার তাহের কাসেমী।�নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্র) আসনে মুফতি আনিসুর রহমান ও আবুল বাশার ফরাজী।�নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) আসনে মাওলানা মুফিজুর রহমান ও মাওলানা হারুনুর রশীদ।�নেত্রকোনা- ৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুড়ী) আসনে মাওলানা রুহুল আমীন নগরী ও মুফতি এরশাদুল্লাহ কাসেমী। নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে মাওলানা রফিকুল ইসলাম। এই আসনে ছাত্র জমিয়তের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি হাফিজ মাওলানা প্রিন্সিপাল আব্দুল ওহহাব হামিদী একবার খেজুরগাছ নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন।�স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত নেত্রকোনার ৫ টি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নতুনদের অবস্থান পূরোনোদের চেয়ে ভাল। অপর দিকে জেলার অধিকাংশ হেফাজত কর্মী জমিয়তের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় অন্যান্য দলের চেয়ে জমিয়তের কর্মতৎপরতা লক্ষনীয়।
Leave a Reply