আরিফুল ইসলাম মুরাদ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি
দীর্ঘদিন যাবৎ জমিসংক্রান্ত মামলা মোকদ্দমা লেগেই আছে বাবুলের পরিবারের সাথে টিফুল মিয়া ও সেলিম মেম্বারের পরিবারের।টিফুল মিয়ার দ্বায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় সব হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে অসহায় বাবুলের পরিবার।
নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের রাজতলা গ্রাম ও পাশ্ববর্তী নোয়াগাঁও গ্রামের ঘটনা।
জমিসংক্রান্ত ঝামেলায় টিফুল মিয়ার লোকজনের হামলার শিকার হয়ে বাবুলের অন্তঃসত্ত্বা ছোট মেয়ে অম্বিতার পেটের বাচ্চা আঘাত পেয়ে মারা যায়। অম্বিতার বড় বোন শিফা আক্তার বাদী হয়ে, গত ৩০শে জানুয়ারী২০২৪ইং টিফুল মিয়া সহ তার লোকজনের নামে হত্যা মামলা দ্বায়ের করে। অভিযোগের ফলে গত ২২শে জুলাই সোমবার টিফুল মিয়া দেশীয় অস্ত্র সহ তার দলবল নিয়ে বাবুলের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভেঙে সব লুটপাট করে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন বিকেল বেলা টিফুল মিয়ার বোন আকলিমা আক্তার জিলুফা(৩৮) কে স্ট্রোক জনিত কারনে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। টিফুল মিয়া অনৈতিক ভাবে সংগ্রহ করা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখিয়ে থানায় আকলিমা আক্তার জিলুফার হত্যা মামলা দ্বায়ের করেন,বাবুল সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে।দ্বায়েরকৃত মামলায় বাবুলসহ তার দুই মেয়ে শিফা আক্তার ও অম্বিতা এবং তার মাতা মালেহা আক্তার গ্রেপতার হোন।বাবুলের পরিবার উচ্চ আদালতের মাধ্যমে অস্থায়ী জামিনে বাড়ি ফিরে দেখে তাদের আর কিছু নাই।সেলিম মেম্বার ও টিফুল মিয়ার দলবল বাবুলের পরিবারের প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। বর্তমানে টিফুল মিয়া ও সেলিম গংদের অত্যাচারে বাবুলের পরিবার এলাকাছাড়া।
এ ব্যাপারে টিফুল মিয়া ও সেলিম মেম্বারের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করে ও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এলাকাবাসী ও বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নারাজ।
বাবুল মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, টিফুল মিয়ার বোন স্ট্রোক জনিত কারনে মারা যায়। কিন্তু ক্ষমতার প্রভাব ও অনৈতিক ভাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট
পরিবর্তন করে উল্টো আমাদের নামে মিথ্যা হত্যা মামলা দেয়। আমাদের সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে,জমিজমা থাকলেও এলাকায় থাকতে পারিনা।আমার অন্তঃসত্ত্বা ছোট মেয়ে অম্বিতার পেটের বাচ্চা মারার অভিযোগ কেন করলাম যার ফলশ্রুতিতে আজকে আমাদের এই করুণ মানবেতর জীবনযাপন।
এ ব্যাপারে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ…….. বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এ শারিরীক আঘাত ও স্ট্রোক জনিত কারন দুটোই উল্লেখ আছে,তদন্ত অনুযায়ী আমরা বিজ্ঞ আদালত চার্জশিট দাখিল করেছি।
তদন্তে কোন ভুল ছিলনা ।তবে বিবাদীগনের আপত্তি থাকলে বিজ্ঞ আদালত এ পুনরায় তদন্তের দাবি করার পরামর্শ দেন।
Leave a Reply