1. abukowsarmithu@gmail.com : abuko wsarmithu : abuko wsarmithu
  2. admin@dainikgonotontro.com : gontadmin :
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
Welcome To Our Website...www.dainikgonotontro.com .....সারা দেশব্যাপী সংবাদ কর্মী নিয়োগ চলছে...
শিরোনাম :
বিএমএসএফের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী : তৃণমূল সাংবাদিকতার এক দীপ্ত অভিযাত্রা। নরসিংদীর শিবপুর অস্ত্র ও ডাকাতি সহ ১৭ মামলার আসামি গ্রেফতার । রাতে-সকালের বৃষ্টির পানিতে আবারও ভাসছে বেনাপোল স্থলবন্দর : দুই বছর লাগবে স্থায়ী সমাধানে গোবিন্দগঞ্জে ৬ কেজি গাঁজা সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক। শ্রীমঙ্গলের আলোচিত কলেজছাত্র হৃদয় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন: দুইজন গ্রেফতার ও মোটরসাইকেল উদ্ধার যশোরে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’-এর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন শার্শায় দাখিল পরীক্ষায় ১৪ টি মাদ্রাসার ফলাফল চরম বিপর্যয়, সচেতন মহলে উদ্বেগ জামিনে মুক্ত পাওয়ার পর পুনরায় গ্রেফতার নিষিদ্ধ যুবলীগ নেতা নুর ইসলাম আশুগঞ্জ আগরতলা মহাসড়কের ফরমায়েশি উড়ালসড়ক ৫০ কিলোমিটারে নেই কোন ইউটার্ন আন্ডারপাস দিনাজপুরে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

দফের আবিষ্কার ও প্রচলন ইতিহাস

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৫১ বার পাঠ করা হয়েছে

অফিস ডেস্ক —

দফ (Daf) বা দাফ একটি প্রাচীন তালবাদ্য যন্ত্র, যার ইতিহাস বহু শতাব্দী পেছনের কথা। এটি মূলত: একটি এক-মুখো ফ্রেম ড্রাম, সাধারণত কাঠ, ধাতু বা প্লাষ্টিকের গোলাকার ফ্রেমে একটি চামড়ার বা সিন্থেটিক চামড়ার ত্বক টানানো থাকে।

 

 চলুন দফের আবিষ্কার ও প্রচলনের ইতিহাস সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে জেনে নিই:

 

আদিম উৎস:

দফের উৎস ধরা হয় প্রাচীন পারস্য বা ইরান অঞ্চলে। প্রায় ৬ষ্ঠ শতাব্দী খ্রিষ্টপূর্বাব্দে।এটি তখন ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হতো। বিশেষ করে সুফি সাধকরা ধ্যান ও জিকিরের সময় দফ ব্যবহার করতেন।

 

 প্রসার ও প্রচার মধ্যপ্রাচ্যে :

 

পারস্য থেকে এটি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।বিশেষ করে আরব, তুর্কি, ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে।প্রাচীন ইসলামি সংস্কৃতিতে দফকে “হালাল” বাদ্যযন্ত্র হিসেবে গণ্য করা হতো।কারণ এটি গানের চেয়ে জিকিরে বেশি ব্যবহৃত হতো।

 

ভারতীয় উপমহাদেশে আগমন:

দফ ভারতীয় উপমহাদেশে আসে মূলত: সুফি সাধকদের মাধ্যমে।মাজার, ওরস, কাওয়ালি, লোকগান ও বাউল সংগীতে দফ বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।বাংলা লোকসংগীতে বিশেষ করে বাউল, মারফতি, মুর্শিদি গানে দফ একটি অপরিহার্য বাদ্যযন্ত্র।

 

দফের প্রচলন ও ব্যবহার:

 

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লোকসংগীত:

গ্রামীণ মেলা, বাউল উৎসব এবং পীর-মাজারেও দফের ব্যবহার অত্যন্ত জনপ্রিয়।বিভিন্ন ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক গানে দফ ব্যবহৃত হয় সঙ্গীতের স্পন্দন ও তাল সৃষ্টি করতে।

 

সুফি ও ধ্যানসংগীতে:

দফ শুধুই বাদ্যযন্ত্র নয়; অনেকের কাছে এটি আত্মার অনুরণন, ভক্তির ছন্দ এবং জাগরণের মাধ্যম বলেও জানা গেছে।

 

আধুনিক সংস্করণ ও থেরাপিতে প্রয়োগ:

এখন অনেক দফে ঝিনঝিন বা ঘণ্টাধ্বনির মতো রিং লাগানো থাকে।বর্তমানে দফকে মিউজিক থেরাপিতেও ব্যবহার করা হয়, কারণ এর ধ্বনি হৃদয় ও মস্তিষ্কে প্রশান্তি আনে।

 

উপসংহার:

দফ একটি প্রাচীন কিন্তু জীবন্ত বাদ্যযন্ত্র যা যুগে যুগে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে নতুনভাবে ও নতুনসাজে প্রকাশ হয়ে আসছে। আজও এটি শুধু লোকসংগীতে নয়, ধ্যান, চিকিৎসা ও গবেষণার ক্ষেত্রেও গুরুত্ব পাচ্ছে।

 

মো: শোয়েব হোসেন (লেখক)

শিক্ষক,শিল্পী, গবেষক,

সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি