1. abukowsarmithu@gmail.com : abuko wsarmithu : abuko wsarmithu
  2. admin@dainikgonotontro.com : gontadmin :
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নারায়ণগঞ্জে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা: বিএসটিআই আইন লঙ্ঘনে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা দীর্ঘদিন যাবত সাইবার নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছেন আড়াইহাজারের তানজিদ আহমেদ রূপগঞ্জে ভাতিজার ইটের আঘাতে চাচার মৃত্যু দিনাজপুরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত টানা ৫ দিন কাস্টমস কর্মকর্তাদের ‘কলম বিরতি’র পর আবারো কাজ শুরু হয়েছে নরসিংদীর ওয়ান শুটার ও গুলি সুইচ গিয়ার চাকু সহ গ্রেফতার ১ সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামীলীগের দোসর  ভূমিদস্যু জালাল ফের বেপরোয়া দিনাজপুরে ডিএনসি-র অভিযানে ১০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক-১ দিনাজপুরে বিএসটিআইয়ের আয়োজনে বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস পালিত বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেফতার

দফের আবিষ্কার ও প্রচলন ইতিহাস

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩১ বার পাঠ করা হয়েছে

অফিস ডেস্ক —

দফ (Daf) বা দাফ একটি প্রাচীন তালবাদ্য যন্ত্র, যার ইতিহাস বহু শতাব্দী পেছনের কথা। এটি মূলত: একটি এক-মুখো ফ্রেম ড্রাম, সাধারণত কাঠ, ধাতু বা প্লাষ্টিকের গোলাকার ফ্রেমে একটি চামড়ার বা সিন্থেটিক চামড়ার ত্বক টানানো থাকে।

 

 চলুন দফের আবিষ্কার ও প্রচলনের ইতিহাস সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে জেনে নিই:

 

আদিম উৎস:

দফের উৎস ধরা হয় প্রাচীন পারস্য বা ইরান অঞ্চলে। প্রায় ৬ষ্ঠ শতাব্দী খ্রিষ্টপূর্বাব্দে।এটি তখন ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হতো। বিশেষ করে সুফি সাধকরা ধ্যান ও জিকিরের সময় দফ ব্যবহার করতেন।

 

 প্রসার ও প্রচার মধ্যপ্রাচ্যে :

 

পারস্য থেকে এটি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।বিশেষ করে আরব, তুর্কি, ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে।প্রাচীন ইসলামি সংস্কৃতিতে দফকে “হালাল” বাদ্যযন্ত্র হিসেবে গণ্য করা হতো।কারণ এটি গানের চেয়ে জিকিরে বেশি ব্যবহৃত হতো।

 

ভারতীয় উপমহাদেশে আগমন:

দফ ভারতীয় উপমহাদেশে আসে মূলত: সুফি সাধকদের মাধ্যমে।মাজার, ওরস, কাওয়ালি, লোকগান ও বাউল সংগীতে দফ বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।বাংলা লোকসংগীতে বিশেষ করে বাউল, মারফতি, মুর্শিদি গানে দফ একটি অপরিহার্য বাদ্যযন্ত্র।

 

দফের প্রচলন ও ব্যবহার:

 

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লোকসংগীত:

গ্রামীণ মেলা, বাউল উৎসব এবং পীর-মাজারেও দফের ব্যবহার অত্যন্ত জনপ্রিয়।বিভিন্ন ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক গানে দফ ব্যবহৃত হয় সঙ্গীতের স্পন্দন ও তাল সৃষ্টি করতে।

 

সুফি ও ধ্যানসংগীতে:

দফ শুধুই বাদ্যযন্ত্র নয়; অনেকের কাছে এটি আত্মার অনুরণন, ভক্তির ছন্দ এবং জাগরণের মাধ্যম বলেও জানা গেছে।

 

আধুনিক সংস্করণ ও থেরাপিতে প্রয়োগ:

এখন অনেক দফে ঝিনঝিন বা ঘণ্টাধ্বনির মতো রিং লাগানো থাকে।বর্তমানে দফকে মিউজিক থেরাপিতেও ব্যবহার করা হয়, কারণ এর ধ্বনি হৃদয় ও মস্তিষ্কে প্রশান্তি আনে।

 

উপসংহার:

দফ একটি প্রাচীন কিন্তু জীবন্ত বাদ্যযন্ত্র যা যুগে যুগে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে নতুনভাবে ও নতুনসাজে প্রকাশ হয়ে আসছে। আজও এটি শুধু লোকসংগীতে নয়, ধ্যান, চিকিৎসা ও গবেষণার ক্ষেত্রেও গুরুত্ব পাচ্ছে।

 

মো: শোয়েব হোসেন (লেখক)

শিক্ষক,শিল্পী, গবেষক,

সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি